পাতা:শ্রীক্ষেত্র-তত্ত্ব-সুধা.pdf/৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰথম অধ্যায়। v) প্ৰচণ্ড তৈজোময় মূৰ্ত্তি দর্শন করিয়া জীবে জ্ঞাত, অজ্ঞাত ও অনস্ত পাপ হইতে মুক্তিলাভ করিতেছে। এই দশ যোজনের মধ্যে নীল পৰ্বত রহিয়াছে ; ঐ পর্বত দেখিলে পৃথিবীর একটি স্তম্ভের ঠার জ্ঞান হয়। এই পৰ্বতের উপর তিন ক্রোশ পরিব্যাপ্ত সংখ্যাকর শঙ্খোদর পুরুষোত্তম ক্ষেত্রে ভগবান জগন্নাথদেবের মন্দির সংস্থাপিত রহিয়াছে। এখানে সাক্ষাৎ বিষ্ণুসদৃশ কল্পতরু বিরাজ করিতেছে। এই বৃক্ষের নিম্নে বায়ুকোণে সুবিখ্যাত রোহিণীকুণ্ড রহিয়াছে, যাহার দর্শনে ও স্পর্শনে জীবগণের মন প্ৰাণ পরিশুদ্ধ ও পবিত্র হয় এবং যাহার দ্বারা প্রাণীগণ আপনি চৰ্ম্মচক্ষে নীলধ্বজ ভগবান দর্শন পাইয়া মোক্ষপদ প্রাপ্ত হয়। ঐ কল্পতরু'র কিছু দূর বায়ুকোণে দেবরাজ মাধব এবং উহার দক্ষিণে নরসিংহ দেবের মন্দির আছে যাহার দর্শনের ফল অতি প্ৰশংসনীয় ও পরম পবিত্রজনক ; এই স্থানে লোকে জপা, তপ ও দানাদি ক্রিয়াকলাপ করিলে অসংখ্য গুণ ফলপ্রাপ্ত হয় উহার সম্মুখে পূর্ণরূপ ফলদাতা ও জ্ঞানবৈরাগ্য প্ৰদৰ্শক কামিক্ষ্যা অর্থাৎ ক্ষেত্ৰপাল দেবের মন্দির বিরাজিত রহিয়াছে। ইহার কিছুদূরে জীবের ভক্তি-মুক্তি-পদ । য়িনী বিমলা দেবী বিরাজমান আছেন এবং ঐ স্থানে মণিকণিকা, কপাল-লোচন প্রভৃতি তীর্থ রহিয়াছে। যাহার দর্শনে ব্ৰহ্মই ঠা প্রভৃতি পাপধ্বংস হয় এবং সমুদ্রতীরে সচ্চিদানন্দ জগৎপিতা জগদীশ্বর কৈলাসপতি যমেশ্বর নামে বিখ্যাত রহিয়াছেন ; র্যাহাকে দর্শন ও পূজা করিলে কোটী শিবলিঙ্গের ফল প্রাপ্তি হয়। ইহাব সন্নিকটে চামুণ্ড কালী ও কল্পতরু আছেন মহাপ্রলয়েও যাহার নাশ নাই এই স্থানের দক্ষিণে শ্বেতগঙ্গা ও মীন রূপী ভগবান জনাৰ্দন ; শ্বেত রূপধারী মহাদেব বিরাজ করিতেছেন। যাহ