পাতা:শ্রীক্ষেত্র-তত্ত্ব-সুধা.pdf/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 শ্ৰীক্ষেত্ৰ-তত্ত্ব-সুধা। . . দিগকে দর্শন করিলে অজ্ঞান-রূপ অন্ধকার দূরীভূত হইয়া মন পবিত্র ও পরিষ্কার হয় এবং অবিচলিত চিত্তে বিষ্ণু ভগবান চরণে ভক্তি শ্রদ্ধারূপ আসক্তি জন্মে। ইহার দর্শনে কৰ্ম্মক্ষেত্ৰজনিত মহাপাতক দূরীভূত হইয়া বাজপেয় যজ্ঞেৰ ফললাভ হইয়া থাকে এবং ঐ কল্পতরুর নীচে বটেশ্বর ইহাব কিছু অগ্রে পরম সুন্দরী দ্বিতীয় শক্তি মঙ্গলাদেবী ও দক্ষিণা"র্মুখে সিদ্ধিদাতা গণপতি বিরাজমান করিতেছেন র্যাহার দর্শনে ও সম্পর্শনে জীবগণের বিন্ননাশ হয়। নীলগিরি। পৰ্ব্বতের পূর্বদিকে মারা চিকা দেবী বিরাজমান ; ইহার ঈশানকোণে জগৎগুরু বিরূপাক্ষ ঈশাণেশ্বর মহাদেব সুশোভিত রহিয়াছেন ; এই স্থানে অনাদি শক্তিসম্পন্ন মহেশ্বরীবিরাজাদেবী বিরাজ করিতেছেন ; এবং সংখ্যাকারের মধ্যভাগে বিষ্ণু ভগবান ও অগ্রভাগে নীলকণ্ঠ মহাদের এবং পৃষ্ঠভাগে মঙ্গলা দেবী মূৰ্ত্তিমতী রহিয়াছেন। এই সংখ্যাকার ক্ষেত্রে বটবৃক্ষের বায়ুকোণে মহর্ষি মার্কণ্ডের আশ্রম ও মার্কণ্ডেয় তীর্থ ( সরোবর ) রহিয়াছে ; এই তীর্থ মাৰ্জন ও স্নান কৰিলে জীবের দ্বিতীয়বার জন্ম হয় না, নীরোগ ও দীর্ঘায়ু হয়। এই পরম পবিত্ৰ সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ শ্ৰীক্ষেত্ৰ ( জগন্নাথপুরী) সমগ্ৰ ভারতবর্যে বিখ্যাত রহিয়াছে এবং নীলমাধব সাক্ষাং বিষ্ণু অবতাররূপ ধারণা করিয়া বিরাজ করিতেছেন। বর্ণাঙ্গার পূজা ও দর্শনাদির অভিলাষে প্রতিদিন দেবগণ স্বৰ্গ হইতে শ্ৰীক্ষেত্রে আগমন করেন। এই তীর্থের পশ্চিমে শপরায়াল অর্থাৎ শবর লোকদিগের শবির নামক স্থান আছে। এষ্টস্থানে সুপ্ৰসিদ্ধ শবরাধিপতি বিশ্বাবসু ভগবান নীলমাধব দেবের মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন।