পাতা:শ্রীক্ষেত্র-তত্ত্ব-সুধা.pdf/৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

으 하 1 এই জন্য শবর জাতীগণ অদ্যাবধি এই বৃহৎ স্থানের অধিকাৰী উক্ত প্রতিষ্ঠিত নীলমাধব দেবের কার্য্যকারী হন। একদা স্মৃষ্টিকৰ্ত্ত চতুর্মুখ ব্ৰহ্মা, সংসাররূপ প্ৰলয় তরঙ্গে ভাসিতে ভাসিতে নীলাচল পৰ্ব্বতে বিষ্ণু ভগবানকৈ দৰ্শনকরতঃ বিষ্কৃত ও চমৎকৃত হইয়া যথাবিধি পূজাপূর্বক ভগবানের নিকট হইতে বিদায় লইয়া আসিতেছিলেন ; এমন সময় দেখিতে পাইলেন, ঐ স্থানে একটী দুৰ্বল কাকপক্ষী তৃষ্ণাতুর হইয়া পবিত্ৰ রোহিণী কুণ্ডে জলপান ও স্নানাদিপূৰ্ব্বক জগদীশ্বরের দর্শন মানসে, আনন্দে নিমগ্ন হইয়া এই স্বর্ণ বালুকাময় স্থানে দেহত্যাগপূর্বক দেবদেহ ধারণ করিয়া বিষ্ণু ভগবানের সম্মুখে উপস্থিত হইল। ঐ ব্যাপার দেখিয়া বিচারপতি ধৰ্ম্মরাজ যম দূঃখিতভাবে এ স্থানে উপনীত হইলেন এবং ভগবানের যথাবিধি পূজা স্তবাদি করত; নিজ অধিকার ভ্ৰষ্ট জানাইয়া মৌনভাবে দণ্ডায়মান আছেন । ইহা দেখিয়া অন্তৰ্য্যামী ভগবান ঈষৎ হাস্যমুখে লক্ষ্মীদেবীর প্রতি দৃষ্টিপাত করিলেন। তথন আদ্যশক্তি ভক্তবৎসল জগন্মা ৩: লক্ষ্মীদেবী ধৰ্ম্মরাজ যমকে বলিতে লাগিলেন, হে ধৰ্ম্মরাজ ! :ে নিমিত্ত তুমি দুঃখিত।মনে আগমন কারিয়াছ, তাই আমি অবগ ? হইয়াছি সেজন্য তোমার ক্ষুব্ধ হইবার আবশ্যক নাই। কারণ এই জগন্নাথ-ক্ষেত্র সম্পূর্ণ সৃষ্টির বহির্ভূত; সুতরাং এই পুৰুষোত্তম মহাবিষ্ণু ভগবানের প্রবল মায়ার প্রভাবে ব্ৰহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বরে ধ ক্ষুদ্রতম মায়া বিলুপ্ত হইয়া যাইতেছে। অতএব এ ক্ষেত্রে তোমার শাসন চলিবে না। এই তীর্থবাসী প্ৰত্যেক জীবগণ ও পশুপক্ষী কীট পতঙ্গাদি প্ৰত্যেক প্রাণীগণ তোমার শাসনের বহির্ভূত ; ইহাদিগের উপর তোমার কোন অধিকার নাই। ইহারা সকলেই এইরূ "