পাতা:শ্রীগৌরাঙ্গদেবের জন্মস্থান.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

لا لا ] শ্ৰীগৌরাঙ্গজন্মভূমিনিৰ্ণয় সমিতি এই সকল প্রমাণ পাইয়া ঐ স্থানকেই ক্রমন্মহাপ্রভুর জন্মভূমি বলিয়া বুঝিতে পারেন, কিন্তু দুঃখের বিষয় সমিতির সভাপতি পরমোৎসাহী গৌড়রাজর্ষি মহারাজা স্যার । মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী বাহাদুর পরলোক গমন করায় সমিতির কার্যে বাধা পড়ে। তথাপি ব্যক্তিগত ভাবে বহু ভদ্রলোকের প্রদত্ত সাহায্যের উপর নির্ভর করিয়া শ্ৰীযুক্ত ব্ৰজমোহন দাস বাবাজী ঐ চড়ার মাঠে ১৩২৫ হইতে ১৩৩৮ সাল পর্য্যন্ত প্রায় ৭০০ শত কূপ খনন করিয়া' মন্দিরের স্থান আবিষ্কার কবিয়াছেন। উহারই সন্নিকটবর্তী স্থানে ঐ মাঠের সত্ত্বাধিকারী জমিদারদিগের সাহায্যে একটা স্তম্ভ নিৰ্ম্মিত হুইয়। তাহাতে চারি ভাষায় লিখিত প্রস্তর ফলক সন্নিবিষ্ট হয়* । কিন্তু ইহাতেও লোকের সন্দেহ তাপগত হইবার নহে । স্থপ্রোথিত মন্দির খনন করিয়া তাহা জনসাধারণের গোচরীভূত না করিতে

  • ১৯৩০ সালের ১১ই ফেব্রুয়াবি তারিখে মন্দিরের সন্নিকটবর্তী স্থানে চরিভাষায় খোদিত প্রস্তর ফলক সমন্বিত একটা স্তম্ভেব প্রতিষ্ঠা করা হয় । প্রতিষ্ঠা দিবসে জন্মভূমি নির্ণয় সমিতির সম্পাদক শ্রীযুক্ত সত্যেন্দ্রনাথ বসু, &ক্ষীরোদ চন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায়, শ্ৰীযুক্ত কান্তপ্রিয় গোস্বামী প্রমুখ কয়েক ব্যক্তি ঐ সময়ে কলিকাতা হইতে ঐ স্তনে ঐ উপলক্ষে গমন করেন। স্থানীয় মিউনিসিপালিটির কমিশনার প্রযুক্ত পূৰ্ণচন্দ্র বাগচি, ইঞ্জিনিয়ার শ্ৰীক্ত কেদারেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়—প্রভুপাদ শ্ৰীযুক্ত রঘুনন্দন গোস্বামী, রসোড়ার জমিদার পক্ষের নায়েব শ্রযুক্ত জগদীশ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ বহুব্যক্তি ঐ সময় ঐ স্থানে উপস্থিত ছিলেন । ১৩৪১ সালের আশ্বিন মাসে ঐ স্তম্ভ হইতে প্রস্তরগুলি খুলিয়। বেলপুকুরের জমিদারী কাছারীতে রক্ষা করা হইয়াছে।