পাতা:শ্রীগৌরাঙ্গদেবের জন্মস্থান.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| >8 | ইহার পরে স্যার যদুনাথ গত ১৯৩৬ সালের ২০এ ডিসেম্বর তারিখে লিখিতেছেন— “মহাপ্রভু শ্ৰীগৌরাঙ্গ-জন্মভূমি-নির্ণয় সমিতির উদ্দেশ্যের সহিত আমার সম্পূর্ণ সহানুভূতি আছে। মহাপ্রভু ঠিক কোন ভূমিখণ্ডে অবতীর্ণ হন তাহা একটি ঐতিহাসিক প্রশ্ন ; এই প্রশ্নের আধুনিক জগতে স্বীকৃত যুক্তিসঙ্গত প্রণালীতে উত্তর খুজিতে তইবে ; এরূপ বিশুদ্ধ ঐতিহাসিক গবেষণায় কোন সংলোক আপত্তি করিতে পারেন না । দেওয়ান গঙ্গাগোবিন্দের লুপ্ত মন্দির উদ্ধার করা এখন আমাদের সৰ্ব্বাগ্রে কৰ্ত্তব্য কাৰ্য্য ; এই মন্দিরটি প্রভুর জন্মস্থান-নির্ণয়ে সাহায্য করিবে এবং বঙ্গীয় প্রত্নতত্ত্বেও যথেষ্ট আলোকপাত করিবে।” ইতি – বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ দেওয়ান গঙ্গাগোবিন্দ সিংহের লুপ্ত মন্দিরের উদ্ধার শ্ৰীগৌরাঙ্গদেবের জন্মভূমিনির্ণয়ের পক্ষে অপরিহার্য্য বলিয়। স্বীকার করিয়াছেন। সাহিত্যপরিষদের ঐ অভিমত জ্ঞাপন করিয়া সাহিত্যপরিষদের সম্পাদক শ্ৰীযুক্ত অমূল্যচরণ বিদ্যাভূষণ গত ১৩৩০ সালের ১২ই ভাদ্র তারিখের পত্রে জানাইতেছেন— “ঐগৌরাঙ্গের জন্মভূমি স্থির করিবার পক্ষে আপনার প্রস্তাবিত গঙ্গাগোবিন্দের মন্দির যথেষ্ট সাহায্য করিবে সন্দেহ নাই। ঐ মন্দিরের অস্তিত্ব যাহাতে শীঘ্র প্রকাশ করিতে পারেন তাহার জন্য আপনাদের সচেষ্ট হওয়া বিশেষ দরকার।’ সুতরাং দেওয়ান গঙ্গাগোবিন্দ সিংহ শ্ৰীগৌরাঙ্গদেবের জন্মস্থানের উপর যে মন্দির নিৰ্ম্মাণ করেন—খনন করিয়া উহার উদ্ধার সাধন