পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

속8 জৈবধৰ্ম্ম [ পঞ্চম লা। হইলেও তোমার উপাসনাকে আর নিত্যধৰ্ম্ম বলিতে পার না। বৈষ্ণব-ধৰ্ম্মের নিত্য বিগ্রহে অৰ্চনাদি নিত্য ধৰ্ম্ম । দে। মে শ্ৰীবিগ্রহ পূজা করা যায়, তাহা মানবকৃত মুক্তি। তাহাকে কিরূপে নিত্য মূৰ্ত্তি বলিব ? লা। বৈষ্ণবপুজ্য বিগ্রহ সেরূপ নয় আদৌ ভগবান ব্রহ্মের ন্যায় নিরাকার নন। তিনি সচ্চিদানন্দঘনবিগ্রহ সৰ্ব্বশক্তিবিশিষ্ট। সেই শ্ৰীমুক্তি পূজনীয় । সেই শ্ৰীমুক্তি প্রথমে জীবের চিদ্বিভাগে প্রতিভাত হইয়া মনে উদিত হয়। মন হইতে নিৰ্ম্মিত শ্ৰীমূৰ্ত্তিতে ভক্তিযোগে তাহা আবির্ভ ত হইয়া পড়ে। তখন ভক্ত তদর্শনে হৃদয়ে যে চিন্ময় মূৰ্ত্তি দেখেন, তাহর সহিত শ্ৰীমূৰ্ত্তির একতা করিয়া থাকেন। জ্ঞানবাদীদিগের পূজিতবিগ্রহ সেরূপ নয়। তাহদেৱ মতে একটা পার্থিব তত্ত্বে ব্ৰহ্মত কল্পিত হইয়া পূজা কাল পৰ্য্যস্ত উপস্থিত থাকে। পরে সে মূৰ্ত্তি পার্থিব বস্তু বই আর কিছুই নয় । এখন গাঢ় রূপে উভয় মতের অর্চনাদির ভেদ আলোচনা কর । গুরুদেবের কৃপায় যখন বৈষ্ণবী দীক্ষা পাওয়া যায়, তখন ফলদৃষ্টে এই পার্থক্যের বিশেষ উপলব্ধি হইয়া পড়ে। দে । আমি এখন দেখিতেছি, বৈষ্ণবদের কেবল গোড়ামি নয় ; তাহার। অত্যন্ত স্বক্ষদর্শী। শ্ৰীমূৰ্ত্তি উপাসনা ও পার্থিব বস্তুতে ঈশ্বর জ্ঞান পরস্পর অত্যন্ত পৃথক। কার্য্যে ভেদ কিছুই দেখি না। নিষ্ঠাতে বিশেষ ভেদ আছে। এ বিষয়ে আমি কিছুদিন চিস্তা করিব। পিতঃ, আমার একটা প্রধান খট্‌কা মিটিয়া গেল। এখন আমি জোর করির বলিতে পারি যে, জ্ঞানবাদীদিগের উপাসনা কেবল ঈশ্বরের সহিত তঞ্চকত মাত্র। ভাল, একথা, আবার আপনার শ্ৰীচরণে নিবেদন করিব। এই বলিয়া তখন দেবী বিদ্যারত্ব ও শস্তু নিজ বাসায় চলিয়া গেলেন অপরাহ্লে উভয়ে আসিয়াছিলেন বটে, কিন্তু সে সব কথার অবকাশ ছিল না। নাম গানে সকলেই সুখলাভ করিয়াছিলেন ।