পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জৈবধৰ্ম্ম [ সপ্তম ט\o כי ঘরে যাইব না, ববং প্রাণত্যাগ করিব, সেও ভাল, এইরূপ বারবার বলিতে লাগিলেন। অবশেষে অম্বিকাগ্রামে একটা বৈষ্ণববাটীতে বাসা করিলেন । তথায় দুই চারি দিন থাকিয়া ঐপাট শান্তিপুর দর্শনপূৰ্ব্বক শ্ৰীধাম নবদ্বীপ যাত্রা করিলেন। শ্ৰীমায়াপুরে একটা বণিককুটুম্ব ছিল, তাহদের বাটতে রছিলেন। দুই চারি দিন থাকিয়৷ ঐনবদ্বীপের সপ্তপল্লী ও গঙ্গাপার এবং কুলিয়াগ্রামের সপ্তপল্লী দেখিয়া বেড়াইতে লাগিলেন । কয়েক দিন পরে পুত্র ও পুত্রবধূগণের প্রতি পুনরায় মায়ার উদয় হইল । চণ্ডীদাস বলিলেন,—চল, আমরা সপ্তগ্রামে যাই ; ছেলেরা কি আমাদিগকে কিছুমাত্র স্নেহ করিবে না ? সেথো বৈষ্ণবী কহিল,— তোমাদের লজ্জা নাই ? এবার তাহারা তোমাদিগকে প্রাণে বধ করিবে । সেই কথা শুনিয়া বৃদ্ধ দম্পতির মনে আশঙ্ক হইল। তাহারা কহিল,—বৈষ্ণব ঠাকুরুন, তুমি স্বস্থানে যাও, আমরা বিবেকী হইলাম। কোন ভাল লোকের নিকট উপদেশ গ্রহণ করিয়। আমরা ভিক্ষার দ্বারা জীবন নিৰ্ব্বাহ করিব । সেথো বৈষ্ণবী চলিয়া গেল । বণিকৃদম্পতি এখন গৃহের আশা ত্যাগ করিয়া কুলিয়াগ্রামে ছ’কড়ি চট্টের পাড়ায় একখানি ঘর বাধিবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন। অনেক ভদ্রলোকের নিকট ভিক্ষ শিক্ষা করিয়া একখানি কুটার প্রস্তুত করিয়া তথায় রহিলেন। কুলিয়াগ্রাম অপরাধভঞ্জনের পাট । তথায় বাস করিলে পূৰ্ব্ব অপরাধ দূর হয়, —এরূপ একটী কথা চলিয়া আসিতেছে। একদিন চণ্ডীদাস কহিলেন, হরির মা ! আর কেন ? ছেলেমেয়ের কথা আর বলিও না, তাহাদিগকে আর মনেও করিও না। আমাদের পুঞ্জ পুঞ্জ অপরাধ আছে, তজ্জন্তই বণিকের ঘরে জন্ম । জন্মদোষে কৃপণ হুইয়। কখনও অতিথি-বৈষ্ণবের সেবা করিলাম না। এখন এখানে কিছু