পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>や8 জৈবধৰ্ম্ম নবম বিষয়ঙ্কান’কে তুমি বিজ্ঞান বলিতেছ ; বস্তুতঃ বিষয়ঙ্কানই যে বিজ্ঞান, তাহা নয়। তোমার আয়ুৰ্ব্বেদাদি বিষয়ঞ্জানকে আলোচনা করিয়া তাহাকে ‘শুদ্ধজ্ঞান’ হইতে পৃথক্ করার নাম বিজ্ঞান’। বিষয়ঞ্জানেব বিলক্ষণ যে শুদ্ধজ্ঞান, তাহাকেই “বিজ্ঞান’ বলে ! বস্তুর ‘জ্ঞান’ ও ‘বিজ্ঞান এক বস্তু । সাক্ষাৎ চিদ্বস্তুর উপলব্ধিকে ‘জ্ঞান’ ললে। বিষয়ঙ্কানকে তিরস্কারপূৰ্ব্বক শুদ্ধজ্ঞান স্থাপনের নাম বিজ্ঞান’। ‘পস্তু এক হইলেও প্রক্রিয়া পৃথক্ বলিযা জ্ঞান’ ও ‘বিজ্ঞান’, দুইটি পৃথক পৃথক নাম হইয়াছে। তোমরা বিষয়ঙ্কানকে ‘বিজ্ঞান’ বল ; বৈষ্ণবগণ পিষয়ঞ্জানকে যথাযথ সংস্থাপন করাকে ‘বিজ্ঞান’ বলে । তাহাব ধনুৰ্ব্বেদ, আযুৰ্ব্বেদ, জ্যোতিষ, রসায়ন—সমস্ত আলোচনাপূর্বক দেখেন, এসমস্তই জড়ঞ্জান ; ইতাব সহিত জীবের নিত্যসম্বন্ধ নাই ; অতএব উহা জীবেব নিত্যধৰ্ম্মসম্বন্ধে নিতান্ত অকিঞ্চিৎকর । যাহারা জড়প্রবৃত্তি অনুসাবে জড়ঙ্গানের উন্নতিসাধনে রত, তাহাদিগকে বৈষ্ণবের কৰ্ম্মকাণ্ডগ্রস্ত বলিয়া জানেন—র্তাহাদিগকে নিন্দ করেন না, কেননা, তাহাবা জড়োন্নতির যত্ন করিয়া বৈষ্ণবের চিজুন্নতির কিয়ৎপবিমাণে পরোক্ষভালে উপকাব করেন। তাহাদের ক্ষুদ্র জড়ময় জ্ঞানকে আপনার ‘প্রাকৃতিক বিজ্ঞান” বলেন ; তাহাতেষ্ট বা আপত্তি কি ? নাম লইয়া বিবাদ করা মূঢ়েরই কৰ্ম্ম । দি । ভাল, জড়ঙ্কান যদি উন্নত না হইত, তবে তোমরা কিরূপে স্বচ্ছন্দে জীবনযাত্রা নিৰ্ব্বাহ করিতে ও ভজন করিতে ? অতএব তোমাদেরও জড়োন্নতির চেষ্টা করা উচিত। অ । প্রবৃত্তি অনুসারে পৃথক পৃথক্ লোক পৃথকৃ পৃথক্ চেষ্টা কৰে ; কিন্তু সৰ্ব্বনিয়ন্ত ঈশ্বর সেই সকল চেষ্টার ফলকে যথাযোগ্য অপর জনগণকে ভাগ করিয়া দেন । দি। প্রবৃত্তি কোথা হইত্তে হয় ?