পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २० ) যাইত। কৃষ্ণৈকশরণের বাহ বেষ-ধারণে বা অধাবণে যে কিছু আসে যায়। ন, ইহা কাস্থাধারী রঘুনাথদাস বাবাজী-মঙ্গশয় ঠাকুরের পুরীধামে .অবস্থানকালে তিলকমালা না দেখিয়া অবজ্ঞা করিবার ফলে কঠিন জ্বররোগগ্রস্ত হইলে অবশেষে স্বপ্নে ইষ্টদেবের আদেশে ঠাকুর-মহাশয়ের করুণাপ্রভাবে নিবাময় হইয়া স্বীকার করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন । অকাম—ঠাকুর-মহাশয় বুভূক্ষ ও মুমুক্ষ, উভয়বিধ কৈতবকে উপেক্ষ করিয়া নিষ্কামভাবে তীব্রভক্তি- যোগদ্বারা পরমপুরুষ পুরুষোত্তম শ্ৰীকৃষ্ণের ভজন করিয়াছেন। অপ্রাকৃত-কামদেব শ্ৰীমদনমোহনের অহৈতুকী-দেবদ্বারাই স্বানন্দ লাভ করা যায়, তাহা ঠাকুর-মহাশয় স্বীয় আদর্শ কৃষ্ণভজনময় আচরণদ্বারা দেখাইয়াছেন । নিরীহ–ভগবৎপ্রতি ব্যতীত অন্ত ঈহ! বা চেষ্টাই ফলভোগকাম-মুলা । তাদৃশ স্বার্থপর চেষ্টা কোনদিনই ঠাকুরকে বিব্রত করিতে পারে নাই। তিনি ফলভোগকামতাৎপৰ্য্যময় জড়ভোগে বা জড়দর্শনে চিরদিনই উদাসীন থাকিয়া ভগবদ্ভজনে নিরস্তর উৎসাহসম্পন্ন ও তত্তৎকৰ্ম্মে প্রবৃত্ত ছিলেন । কৃষ্ণভজনচেষ্টা-বিরোধীর জাড্য কোনদিনই তাহাকে আক্রমণ করিতে পারে নাই । স্থির—ঠাকুর-মহাশয় স্বীয় আরাধ্য শ্ৰীব্রজেন্দ্রনন্দনের সেবায় নিত্য অধিষ্ঠিত ছিলেন বলিয়া কোনদিন লক্ষ্যভ্রষ্ট বা আদর্শচ্যুত হইয়া কৃষ্ণভজনচেষ্টা-রহিত হন নাই। মুকুন্দসেবা ব্যতীত আতঞ্জলিঋষি-কথিত যোগদর্শনবিহিত উপায়ে অর্থাৎ শমদমাদি সাধন-যটুকদ্বারা যে চিত্ত স্থির হয় না, তাহা স্বয়ং হরিভজন করিয়া বুঝাইয়াছেন । বিগত ৪•• গৌরাঙ্গে যখন শ্ৰীমন্মহাপ্রভুর জন্মভিটা ৰোগপীঠে শ্ৰীমায়াপুরের ঐবিগ্রহসেবা প্রকটিত হন, তখন তিনি স্বয়ং ভিক্ষার ঝুলি স্বন্ধে করিয়া ধনীনির্ধন নিৰ্ব্বিশেষে সমস্ত লোকের দ্বারে দ্বারে গমন করিয়া যোগপীঠের সেবার জঙ্গ