পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᎼᎭ$ জৈবধৰ্ম্ম [ দশম প্ৰহলাদ ও ধ্রুবের সময আবও কতশত বৈষ্ণব ছিলেন, তাহা বলা যায় না। ধ্রুব, ময়ুপুত্র এবং প্ৰহলাদ কখপ প্রজাপতির পৌত্র। ই হারা অত্যন্ত আদিকালের লোক, ইহাতে সন্দেহ নাই। ইতিহাসের আরম্ভকালেই শুদ্ধবৈষ্ণবধৰ্ম্ম দেখিতে পাইতেছেন। পরে চন্দ্রস্থৰ্য্যবংশীয় রাজগণ এবং ভাল ভাল মুনি ও ঋষিগণ সকলেই বিষ্ণুপরায়ণ হইয়াছিলেন। সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর, তিন যুগেই এরূপ উল্লেখ আছে। কলিকালে দাক্ষিণাত্য প্রদেশে ঐরামানুজ, শ্ৰীমধবাচাৰ্য্য ও ঐবিষ্ণুস্বামী এবং পাশ্চাত্য প্রদেশে ঐনিম্বাদিত্যস্বামী বহু সহস্র ব্যক্তিকে বিশুদ্ধ বৈষ্ণবধৰ্ম্মে আনয়ন করিয়াছিলেন। তাহাদের কৃপায়, বোধ হয়, ভারতের অৰ্দ্ধসংখ্যক মনুষ্য মারাসমুদ্র উত্তীর্ণ হইয়া ভগবচ্চরণাশ্রয় লাভ করিয়াছেন । এই বঙ্গদেশে আমার হৃদয়নাথ শ্ৰীশচীননান, দেখুন, কত দীন ও পতিত লোককে উদ্ধার করিলেন । এ সমস্ত দেখিয়াও আপনার বৈষ্ণবধর্শ্বের মাহাত্ম্য নয়নগোচর হয না ! দ্য । হা ; কিন্তু প্ৰহলদাদিকে কি প্রকারে বৈষ্ণব বলা যায় ? বৈ । শাস্ত্রবিচার করিলে অবশু জানা যায়। যখন যণ্ডামর্কের শিক্ষিত মায়াবাদদূষিত ব্ৰহ্মজ্ঞান ত্যাগপূৰ্ব্বক চৰুিনাম সার করিয়াছিলেন, তখন প্ৰহলাদ যে শুদ্ধভক্ত ছিলেন, ইহাতে সন্দেহ নাই। মূল কথা এই যে, একটু নিরপেক্ষ ও স্বল্প দৃষ্টি ব্যতীত শাস্ত্রতাৎপৰ্য্য বুঝা যায় না। ন্তা । যদি বৈষ্ণবধৰ্ম্ম এইরূপে চিরকাল আসিতেছে, তবে চৈতন্য মহাপ্ৰভু কি নুতন কথা শিক্ষা দিলেন, যাহাতে তাহাকে বিশেষ শ্রদ্ধা করিতে হইবে ? ' বৈ । বৈষ্ণবধৰ্ম্ম, পদ্মপুষ্পের ন্যায়, কালসহকারে ক্রমশঃ প্রস্ফুটিত হইতেছেন। প্রথম কলিকা। পরে একটু বিকচিন্তভাবে লক্ষিত। ক্রমশঃ পূৰ্ণবিকচিতভাবপ্রাপ্ত পুষ্পবং প্রকাশিত। ব্ৰহ্মার সময়ে