পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So と জৈবধৰ্ম্ম [ দ্বাদশ সময় একটী নবীন নৈয়ায়িক আসিয়া বলিল,—ন্তায়পঞ্চানন মহাশয়, আপনি কি নিমাই পণ্ডিতের পরমাণুখগুনফাকি শুনিয়াছেন ? হায়পঞ্চানন তখন সিংহের ন্যায় গর্জনপূর্বক কহিলেন,—নিমাই পণ্ডিত কে ? তুমি কি জগন্নাথমিশ্রের পুত্রের উদেশে বলিতেছ? তাহার ফাকি কি, তাক তুমি বল। নবীন বিদ্যাৰ্থ বলিল যে, এই নবদ্বীপে কিছুদিন পূৰ্ব্বে নিমাই পণ্ডিত নামক একটী মহাপুরুষ ন্যায়শাস্ত্রের বহুবিধ ফকিরচনা করতঃ কাণভট্ট শিরোমণিকে বিব্রত করিয়া ফেলিয়াছিলেন। তিনি যেরূপ দ্যায়শাস্ত্রে পারদর্শী ছিলেন, সে সময়ে আর কেচ তদ্রুপ ছিল না ; কিন্তু দ্যায়শাস্ত্রে পারঙ্গত হইয়াও ঐ শাস্ত্রকে তুচ্ছঙ্কান করিতেন। কেবল ন্যায়শাস্ত্র নয়, সমস্ত সংসারকে তুচ্ছঞ্জন করিয়া পরিব্রাজকপদ গ্রহণ করতঃ দেশে দেশে হরিনাম প্রচার করিয়াছিলেন। এখনকার বৈষ্ণববর্গ তাঙ্গকে পূৰ্ণব্ৰহ্ম বলিয়া শ্ৰীগৌরহরিমন্ত্রে তাহার পূজা করিয়া থাকেন। দ্যায়পঞ্চানন মহাশয়, আপনি তাহাঁর ফাকিগুলি একবার আলোচনা করিয়া দেখিবেন । দ্যায় পঞ্চানন নিমাই পণ্ডিতকৃত ফাকির মাহাত্ম্য শ্রবণ করিয়া কিয়ুৎপরিমাণ অনুসন্ধানের পর কাঙ্কারও কাহারও নিকট হইতে কয়েকটী ফাকি সংগ্ৰহ করিলেন। মকুষ্যের স্বভাব এই যে, যে বিষয়ে যাহার শ্রদ্ধা, তদ্বিষয়ের অধ্যাপকগণকে স্বভাবতঃ শ্রদ্ধা করিয়া থাকেন। বিশেষতঃ জীবিত মহাপুরুষদিগের প্রতি সাধারণের নানা কারণে শ্রদ্ধা সহজে হয় না। পরলোকগত মহাজনের কার্য্যে মানবের অধিক শ্রদ্ধা হয়। তন্নিবন্ধন নিমাই পণ্ডিতের ফাকিগুলি আলোচনা করিয়া তাহার প্রতি দ্যায়পঞ্চাননের অচলা শ্রদ্ধা গুইল । তিনি বলিতে লাগিলেন, তা নিমাইপণ্ডিত ! আমি যদি সে সময় জন্মগ্রহণ করুিতাম, তাহা হইলে তোমার নিকট কতই না জ্ঞানলাভ করিতে পারিতাম ! হ৷ নিমাই পণ্ডিত ! তুমি একবার আমার হৃদয়ে প্রবেশ কর! তুমি, সভাই