পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] নিত্যধৰ্ম্ম ও সাধন S\>> এইরূপ কথা ষ্টতে হইতে বৈষ্ণবসকল নিজ নিজ কার্ঘ্যে চলিয়া গেলেন। বৃদ্ধ বাবাজী ও ব্ৰজনাথ রছিলেন । ব্ৰজনাথ বলিলেন,—বাবাজী মহাশয়, আমরা জাতিতে ব্রাহ্মণ, তাতাতে বিদ্যাভিমানী ; আমাদের অহঙ্কারে আমরা পৃথিবীকে সরার মত দেখি— সাধু-মহান্তের সন্মান জানি না । কি জানি, কি ভাগ্যবলে আপনাদের কাৰ্য্য ও চরিত্রে আমার একটু শ্রদ্ধা হইয়াছে। দু’-একটি কথা জিজ্ঞাসা করিব, উত্তর প্রদান করুন। আমি কপটভাবে আসি নাই –বলুন দেপি, জীবের সাধ্য-সাধন কি ? দ্যায়শাস্ত্রপাঠকালে আমি স্থির করিয়াছি যে, জীব ঈশ্বর হইতে নিত্য পৃথকৃ। ঈশ্বরের কৃপাই জীবের মুক্তির কারণ। ঈশ্বরেব রূপা যাহাতে লাভ কব যায়, তাহাই সাধন। সাধন করিয়া যাহা পাওযা যায়, তাহাঙ্গ সাধ্য । আমি দ্যায়শাস্ত্রকে অনেকবার জিজ্ঞাসা করিয়াছি, সাধ্য-সাপন কি ? কিন্তু সে শাস্ত্র আমাকে উত্তর দেয় না ; সৰ্ব্বদা নিস্তব্ধ থাকে । আপনার সাধ্য-সাধনসম্বন্ধে যাহা সিদ্ধাস্ত করিয়া ছেন, তাই। আমাকে বলুন। শ্ৰীবঘুনাথদাস বাবাজী মহানুভব । তিনি বহুদিন শ্রীরাধাকুণ্ডে অবস্থিত হইয়৷ শ্ৰীদাসগোস্বামীব চরণের আশ্ৰয লইয়াছিলেন । প্রতিদিন অপরাহ্লে শ্ৰীদাসগোস্বামীর মুখে গোরলীলা শ্রবণ করিতেন। শ্রীরঘুনাথদাস বালাজী ও শ্ৰীকৃষ্ণদাস কবিরাজ মহাশয়, ইহারা অনেক সময়ে পরস্পর তত্ত্বালোচনা করিয়া যখন যে সন্দেহ উদিত হইত, তাতা শ্ৰীদাসগোস্বামীকে জিজ্ঞাসা করিয়া মিটাষ্টয়া লইতেন। এসমযে শ্ৰীগৌড়মগুলে শ্রীরঘুনাথদাস বাবাজীষ্ট প্রধান পণ্ডিত বাবাজী ছিলেন। শ্ৰীগোক্রমের প্রেমদাস পরমহংস বাবাজী মহাশয়ের সক্তিত ই হার অনেক প্রেমালাপ হইত । শ্ৰীব্ৰজনাথের প্রশ্ন শুনিয়া তিনি পরমহলাদে বলিতে লাগিলেন—গুণয়পঞ্চানন মহাশয়, দ্যায়শাস্ত্র পড়িয়া যিনি সাধ্যসাধন-বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন,