পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ૨8 ) শ্রীরঘুনাথভট্ট-গোস্বামীকে, শ্রীনামহট্ট-প্রচার কার্য্যে শ্ৰীনিতানন্দপ্রভু ও শ্ৰীহরিদাসকে দক্ষতা দিয়াছিলেন, তদ্রুপ ঠাকুরমহাশয়কেও শুদ্ধভক্তিপ্রকাশ-কার্য্যে সৰ্ব্ববিধ দক্ষতা দিয়া পাঠাইয়াছিলেন। র্তাহার শ্রীজৈবধৰ্ম্ম, তাহার শ্ৰীকৃষ্ণসংহিতা, তাঙ্গর শ্রীচৈতন্যশিক্ষামুত, তাহার শ্ৰীমন্মহাপ্রভুর শিক্ষা, তাহার শ্ৰীহরিনাম-চিস্তামণি, তাহার তত্ত্ববিবেক তাহার শ্ৰীভাগবতার্ক-মরীচিমালা, তাহার তত্ত্বস্বত্র ও আমায়স্থ ত্র, তাহার শ্ৰীভজনরহস্ত, শ্ৰীচরিতামৃত ও শ্ৰী উপদেশামৃতের ব্যাখ্যা, সৰ্ব্বোপরি র্তাহার কল্যাণকল্পতরু, শরণাগতি, গীতাবলি ও গীতমালা এবং ধাম-মাহাত্ম্যস্থচক পুস্তিকবলীর বহু সংস্করণ র্তাহার গৌড়ীয়বৈষ্ণবধৰ্ম্মসংরক্ষণকার্য্যে অস্তৃত দক্ষতারই পরিচয় দিতেছে । মেীনী—ঠাকুর-মহাশয় কৃষ্ণেতর কোন বিষয়-কথা কীৰ্ত্তন করিয়া জিহবালাম্পট্যের প্রশ্রয় দেন নাই । *হfর ভজন কর ও করাও”—ইহাই ছিল তাহার জিহবার ও লেখনীর ভাষা । বিষয়-কথা-কীৰ্ত্ত:ন তিনি সৰ্ব্বদাই তুষ্ণীম্ভাব অবলম্বন করিতেন । ভক্ত, ভক্তি ও ভগবদ্রবিমুখের কথায় তিনি -সৰ্ব্বদাই উপেক্ষা প্রদর্শন করিয়া মৌন থাকিতেন। তৎকত কল্যাণকল্পতরুর নিম্নলিখিত পদ্যটা তাহার প্রদর্শিত ভাব সুন্দর জ্ঞাপন করিতেছে— “বৈষ্ণবচরিত্র, সৰ্ব্বদা পবিত্র, যেই নিন্দে হিংসা করি’ । ভকতিবিনোদ, না সন্তাষে তারে, থাকে সদা মৌন ধরি ॥” এইরূপে আমরা দেখিতে পাই যে, উল্লিখিত সজ্জন-লক্ষণসমূহ যেন মূৰ্ত্তি পরিগ্রহ করিয়ান্ট একাধারে ঠাকুরের সহিত সংশ্লিষ্ট । হরিবিমুখ দও্যজীব করণাপাটব-দোষে অনেক সময়ই ঠাকুরের অপ্রাকৃত লক্ষণসমূহ দেখিতে না পাইয়া অবৈষ্ণব ও বৈষ্ণবকে সমজ্ঞানে ভ্রান্ত হইয়া শুদ্ধ-বৈষ্ণবের চরণে অপরাধ করিয়া বসে। তাদৃশ অপরাধের হস্ত চইতে নিস্কৃতি দিবার জন্তই অর্থাৎ জীবের নিত্যধৰ্ম্ম শিক্ষা দিবার জন্তষ্ট ঠাকুরের শ্ৰীহস্ত প্রকটিত এই জৈবধৰ্ম্ম-গ্ৰন্থরাজ শাস্ত্রসিন্ধুমন্থনোথিত অমৃতের দ্যায় শত শত প্রশ্নোত্তর-ধারায় তপ্তজীবজগতে বর্ষিত হইতেছে । নিষ্কপট অমৃতসন্ধানেচ্ছ পাঠক ও শ্রোতা তাহা পান করিয়া ধষ্ঠ হউন,—ষ্টকাট আমাদের প্রার্থনা, আর আমরাও অন্ত র্তাহার অমূল্য অপ্রাকৃত ছয়বগাছ চরিত-সিন্ধু-বিলুরস্পর্শ লাভ করিয়৷ ধস্তাতিধষ্ঠ ও কৃতকৃতাৰ্থ হইলাম।