পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১২ জৈবধৰ্ম্ম [ দ্বাদশ তিনিই জগতে ধন্ত । কেননা, দ্যায়শাস্ত্রের প্রধান উদ্দেশ্য এই যে, বিচার করিয়া ভাষ্যবিষয় সংগ্রহ করা। দ্যায়শাস্ত্র পড়িয়া যাহারা কেবল বিতর্ক পর্য্যস্ত ফললাভ করিযাছেন, তাহদেব দ্যায়পাঠের অন্তায় ফল হইয়াছে, বলিতে হইবে । তাহাদের শ্রম পণ্ডশ্রম—র্তাহাদের জীবন বৃথা । যে তত্ত্বকে সাধন করিয়া পাওয়া যায়, তাহাই সাধ্য । সেই সাধ্যবস্তু পাইবার যে উপায় অবলম্বন কবা যায়, তাহার নাম সাধন। মায়বদ্ধ জীবগণ নিজ নিজ প্রবৃত্তি ও অধিকার অনুসারে সাধ্যবিষয়কে পৃথক পৃথক্ কবিয়া দেখেন। বস্তুতঃ, সাধ্যতত্ত্ব এক বই দুই নয়। প্রবৃত্তি ও অধিকার-ভেদে সাধ্যবস্তু তিন প্রকার হইয়াছেন, অর্থাৎ ভুক্তি, মুক্তি ও ভক্তি। যাহাব| প্রাপঞ্চিক-কৰ্ম্মে আবদ্ধ ও প্রাপঞ্চিক-মুখের বাসনায় ব্যস্ত, তাহারা ভুক্তিকে সাধ্য বলিয়া মনে করেন । শাস্ত্র কfমধেনু—যিনি বাহা পাইবার বাসন। করেন, শাস্ত্রমধ্যে তিনি তাঙ্গা লাভ করেন। প্রাপঞ্চিক সুখভোগকে কৰ্ম্মকাণ্ডীয় শাস্ত্রে সাধ্য বলিয়৷ সেই সেই অধিকারীকে শিক্ষা দিয়াছেন । প্রাপঞ্চিক জগতে যত প্রকাব ভাবিমুখেব আশা আছে, সে সমস্ত ঐ শাস্ত্রে নিদিষ্ট হইয়াছে। এই জগতে প্রাপঞ্চিকদেহ ধারণ করিয়া জীব ইন্দ্রিয়সুখকে বিশেষ আদর করে । সেই ইন্দ্রিয়সুখের ভোগায়তন এই জড়জগৎ | জন্মগ্রহণ করিয়া মরণ পর্য্যস্ত যে ইন্দ্রিয়সুখ-ভোগ হয়, তাহার নাম ঐহিক মুখ ; মরণাস্তে অবস্থাস্তরে যে ইন্দ্রিয়মুখ-ভোগ হয়, তাহার নাম আমুত্রিক মুখ। আমুত্রিক মুখ বহুবিধ—স্বর্গে ও ইন্দ্রলোকে অঙ্গরাদির নৃতাদর্শন, অমৃতভোজন, নন্দনকাননে পুষ্পাদির ঘ্রাণ, ইন্দ্রপুরী ও নন্দনকাননের শোভা-দর্শন, গন্ধৰ্ব্বদিগের গীতশ্রবণ ও বিদ্যাধরীদিগের সহিত সহবাস, এই সকল মুখের নাম স্বৰ্গীয় সুখ । এইপ্রকার মহ: ও জনলোকে কিয়ৎপরিমাণ মুখের বর্ণন আছে। তপোলোকে ও ব্রহ্মলোকে কিছু কিছু ইঞ্জিয়মুখের বর্ণন আছে। ভূলোকের ইন্দ্রিয়সুখ অত্যস্ত