পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] নিত্যধৰ্ম্ম ও সাধন ミ>Q ইত্যাদি এতিবাক্যে, “অহং ব্রহ্মাশ্মি" (বু আঃ ১৪১ - ) “প্রজ্ঞানং ব্ৰহ্ম” ( ঐত ১৫৩ ) “তত্ত্বমসি শ্বেতকেতো” ( ছাঃ ৬৮৭ ) ( ১ ) প্রভৃতি মহাবাক্যে ভক্তির চরমতা ও সাধ্যত দেখিতে পাওয়া যায় না ; অতএব মুক্তিকে চরমসাধ্য বলিলে দোষ কি হয় ? বাবাজী মহাশয় । আমি পূৰ্ব্বেষ্ট বলিয়াছি যে, প্রবৃত্তি অনুসারে সাধ্যভেদ পাওয়া যায়। ভুক্তিস্পৃহা যে পৰ্য্যন্ত থাকে, সে পৰ্য্যন্ত ‘মুক্তি’ বলিয়৷ একটা তত্ত্ব স্বীকৃত হয় না। তদধিকারীর পক্ষে “অক্ষয্যং হ বৈ চাতুর্মাস্তযাজিন" ( আপস্তম্ব শ্রেীতস্বত্র ২য় প্রঃ ১ম অঃ ১ম খণ্ড ) ( ২ ) ইত্যাদি বহুৰাক্য আছে। বাবা, তবে কি ‘মুক্তি’ কথাটা ভাল নয় ? কস্মিগণ মুক্তির অনুসন্ধান পান না বলিয়া কি বেদশাস্ত্রে ‘মুক্তি” উল্লিখিত হয় নাই ? দুই একজন কৰ্ম্মী ঋষি, অক্ষম লোকের জন্য বৈরাগ্য এবং সমর্থ লোকেব জন্য কয়—এরূপ উপদেশ করিয়াছেন । এই সমস্ত ব্যবস্থা নিম্নাধিকারীদিগকে স্ব স্ব অধিকারে নিষ্ঠ দান করিবার জন্য লিখিত হইয়াছে । অধিকারচ্যুত হইলে জীবের কল্যাণ হয় না। অধিকার-নিষ্ঠার সহিত কাৰ্য্য করিলে সেই অধিকারের উপর যে অধিকার আছে, তাহা অনায়াসে পাওয়া যায়। অতএব বেদশাস্ত্রে এরূপ নিষ্ঠা-উৎপাদক ব্যবস্থার নিন৷ নাই ; নিন্দা করিলে অধোগতি হয়। জগতে যত জীব উন্নত হইয়াছে, সকলেষ্ট অধিকার-নিষ্ঠা অবলম্বন করিয়া ফললাভ করিয়াছেন। কৰ্ম্মাধিকারে কর্মের উপর যে মুক্তিসাধক জ্ঞান, তাহ প্রদর্শিত না তইলেও জ্ঞানাধিকারে মুক্তির প্রশংসা-স্থলে আপনার উল্লিখিত মন্ত্রবাক্যসকল প্রতিষ্ঠিত হয় ; যেরূপ কৰ্ম্মাধিকারের উপর জ্ঞানাধিকার, সেইরূপ ( ১ ) “কে কিসের দ্বারা কাহাকে দর্শন করিৰে ?”, “জামি জীবাত্মা ব্ৰহ্মজাতীয় ৰন্ত ।” “প্রজ্ঞা (প্রেমভক্তি ) অপ্রাকৃত-ব্রহ্মস্বরূপ","হে শ্বেতকেতে, তুমি তাহার।" (২) অক্ষয়শ্বৰ্গকামী হইয়৷ চাতুৰ্ব্বাস্য ব্রত যজন করিৰে।