পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/২৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৮ জৈবধৰ্ম্ম [ দ্বাদশ ঈশ্বরকে সস্তুষ্ট কবিতে পারে না ; কিন্তু ঈশভক্তির আশ্রযে আপন ফল ‘দেয় । এতন্নিবন্ধন কৰ্ম্মে ও জ্ঞানে ভক্ত্যাভাসের ব্যবস্থা ; তাকাতে যে ভক্তি দেখিতে পাওয়া যায়, তাঙ্গ শুদ্ধভক্তি নয, ফলসাধক ভক্ত্যাভাসমাত্র । ভক্ত্যাভাস ও দুইপ্রকার—শুদ্ধভক্ত্যাভাস ও বিদ্ধভক্ত্যাভাস। শুদ্ধভক্ত।ণভালের বিষয় পরে বলিব । বিদ্ধভক্ত্যাভাস তিন প্রকার—কৰ্ম্মবিদ্ধভক্ত্যাভাস, জ্ঞানবিদ্ধভক্ত্যাভাস এবং কৰ্ম্ম ও জ্ঞান উভয়বিদ্ধভক্ত্যভাল। যজ্ঞাদির সময় ‘হে ইন্দ্র, হে পূষন, তোমরা অনুগ্রহ করিঘা এই যজ্ঞফল দান কব”—এই প্রকাব যত ভক্ত্যাভাস-ক্রিয়া আছে, সকলই কৰ্ম্মবিদ্ধভক্ত্যাভাস । এই কৰ্ম্মবিদ্ধভক্ত) ভাসকে কোন কোন মহাত্মা কৰ্ম্মমিশ্র ভক্তি বলিয়ছেন ; কেহ বা ইহাকে “আরোপসিদ্ধা ভক্তি’ বলিয়াছেন। ‘হে যদুনন্দন, আমি সংসাবভয়ে ভীত হইয৷ তোমার নিকট আসিয়াছি এবং তোমাব হবেকৃষ্ণ’ নাম অহরহঃ করিতেছি, তুমি কৃপা করিয়া আমাকে মুক্তিদান কর।’ হে পৰমেশ, তুমিই ব্ৰহ্ম ; আমি মায়াগর্তে পড়িয়াছি, তুমি আমাকে উঠাইয়া লইযা তোমার সহিত অভেদ কর এই প্রকার উচ্ছ,াসসকল জ্ঞানবিদ্ধভক্ত্যাভাস । ইহাকে মহাত্মগণ ‘জ্ঞানমিশ্রভক্তি’ বলিয়াছেন, ইহাও আরোপসিদ্ধা । এ সমস্ত শুদ্ধভক্তি হতে পৃথক । “শ্রদ্ধাবান ভজতে যো মাম’ এই শ্ৰীমুখবাক্যে যে ভক্তির উদ্দেশ আছে, তাহ শুদ্ধভক্তি । সেই শুদ্ধভক্তিই আমাদের সাধন এবং সিদ্ধাবস্থায় তাহ প্ৰেম । কৰ্ম্ম ও জ্ঞান—যে দুইটা উপায় কথিত হইয়াছে, তাহা কেবল ভুক্তি ও মুক্তিব সাধন, জীবের নিত্যসিদ্ধভাবের সাধন নয। ব্ৰজনাথ এই সকল কথা শ্রবণ করিয়া সেদিন আর প্রশ্ন করিতে পারিলেন না। মনে মনে করিলেন, “দ্যায়শাস্ত্রের ফাকি অন্বেষণ করা অপেক্ষ এই সকল স্বগ্নতত্ত্ব বিচার করা ভাল। বাবাজী মহাশয় এসব বিষয়ে বিশেষ বুৎপন্ন। আমি ক্রমশ: এ বিষয় প্রশ্ন করিয়া জ্ঞানলাভ