পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/২৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] নিত্যধৰ্ম্ম ও সম্বন্ধাভিধেয়প্রয়োজন २२ ¢ প্রকার ৮ট পৃথক পৃথক প্রমাণ মানিয়াছেন। এস্থলে এরূপ পার্থক্যের কারণ কি ? এবং প্রত্যক্ষ ও অনুমানকে সিদ্ধপ্রমাণমধ্যে গণ্য না করিলে জ্ঞানবাপ্তি কিরূপেই বা হইবে ? আমাকে একটু বুঝাইয়া বলুন। বা। প্রত্যক্ষাদি প্রমাণসকল ইন্দ্রিয়পরতন্ত্র। বদ্ধজীবের ইন্দ্রিয়সকল ভ্রম’, ‘প্রমাদ, বিপ্ললিসা" ও "করণাপাটব”—এই চারিদোষে সৰ্ব্বদা দূষিত। তাছারা যে জ্ঞানকে আনিয়া দেয়, তাহাকে সত্যজ্ঞান কিরূপে বলা যায় ? সমাধিপূর্ণ ঋষিগণ ও মহাস্তগণের হৃদয়ে স্বচ্ছন্দশক্তি ভগবান উদিত হইয়। বেদরূপ যে সিদ্ধজ্ঞান প্রদান করিয়াছেন, তাহা নিৰ্ভয়ে স্বীকার করা যায়। ব্র। ভ্রম, প্রমাদ, বিপ্রলিপস ও করণপাটব—এই চারিটির অর্থ বুঝাইয়া দিন। বা। বিষয়ঞ্জান সম্বন্ধে অসম্পূর্ণ ইঞ্জিয়েব যে ভুল হয়, তাহার নাম 'ভ্রম’ ; যথা—দৃষ্টিভ্রমে মরীচিকায় জলবোধ ইত্যাদি । জীবের প্রাকৃত বুদ্ধি স্বভাবতঃ সীমাবিশিষ্ট ; অসীমতত্ত্বে যাহা সিদ্ধাস্ত করা যায়, তাহাতে কাযে-কাযেই ভুল থাকে, তাহার নাম ‘প্রমাদ' ; যথা—দেশ ও কালের সীমা, বুদ্ধি এবং ঈশ্বরের কর্তৃত্ব-জিজ্ঞাসা ইত্যাদি। সন্দেহের নাম ‘বিপ্রলিপ্সা"। ঘটনাক্রমে কৰ্ম্মেন্দ্ৰিয়সকলের অপটুতা অপরিহার্ঘ্য ; অনেকসময়ে তন্নিবন্ধন ভুল সিদ্ধান্ত হইয় পড়ে, তাহার নাম "করণ পাটব’ । ব্র । প্রত্যক্ষাদি প্রমাণের কি তবে কোন স্থল নাই ? ব। জড়জগতের জ্ঞানসম্বন্ধে প্রত্যক্ষাদি প্রমাণ ব্যতীত আর উপায় কি আছে ? fচজগতের ব্যাপারে তাহারা অক্ষম। তৎসম্বন্ধে বেদই একমাত্র প্রমাণ। প্রত্যক্ষাদি-প্রমাণদ্বারা যে জ্ঞানলাভ করা যায়, ওহি। যদি স্বতঃসিদ্ধ বেদ-প্রমাণের অমুগত হয়, তাহা হইলে প্রত্য*াদি > &