পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/২৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] নিত্যধৰ্ম্ম ও সম্বন্ধাভিধেয়প্রয়োজন ૨૭૪ না। চিজগৎকে জলের সঙ্গে তুলনা করিলে এবং ময়িকজগৎকে ভূমির সহিত তুলনা করিলে তদুভয়ের বিভাগকারী সুহ্মস্বত্রই ‘তট’ ; সেই সন্ধিস্থলে জীবশক্তির অবস্থিতি। স্বৰ্য্যেব কিবণে যেরূপ পরমাণু-সকল অবস্তিতি করে, জীবসকল সেইরূপ জীব একদিকে চিজ্জগৎ দেখিতেছেন ও অপর দিকে মায়া-রচিত ব্ৰহ্মাও দেখিতেছেন । ঈশ্বরের চিচ্ছক্তি অসীম, মায়াশক্তিও প্রকাও, তদুভয়ের মধ্যস্থিত অনন্ত স্থম্ম জীল । কুষ্ণেব তটস্থ শক্তি হইতে জীব ; অতএপ জীবের স্বভাব ও তটস্থ । ব্র । ‘তটস্ত’ স্ব ভাব কিবীপ ? বা। তাঙ্গতে উভয জগতের মধ্যবৰ্ত্তী হইযা দুইদিকেই দৃষ্টি চলে । উভযশক্তির বশীভূত হইবার যোগ্যতাই তটস্থ-স্বভাব’। ‘তটা জলের জোরে কার্টিনা গিয নদী হয, আবার ভূমির দৃঢ়তা লাভ করিলে ভূমি চষ্টয পড়ে। জীব যদি কৃষ্ণের প্রতি দৃষ্টি করেন, তবে তিনি কৃষ্ণশক্তিতে দৃঢ় হন ; যদি মায়ার প্রতি দৃষ্টি করেন, তবে ক্লঞ্চ বহির্মুপ হইয়া মায়ার জলে পড়িযা আবদ্ধ হন । এই স্বভাবই ‘তটস্থস্বভাব’ । ব্র । জীবের গঠনে কি মাযার কোন তত্ত্ব আছে ? বা। না,– জীব চিদ্বস্তুতে গঠিত ; নিতান্ত অণুস্বরূপ হওয়ায় চিদবলেব অভাবে মাযার অভিভাব্য অর্থাৎ মায়ার দ্বাবা পরাজিত হইবার যোগ্য। জীবের সত্তায় মায়-গন্ধ নাই । ব্র। আমি আমার অধ্যাপকের নিকট শুনিয়াছিলাম যে, ব্রহ্মের চিংখণ্ড মায়া-পরিবেষ্টিত ইয়া জীব হইয়াছে । আকাশ যেরূপ সৰ্ব্বদ। মহাকাশ, কিন্তু আবৃত চইলে ঘটাকাশ হয়, জীবও সেই জপ স্বভাবতঃ ব্রহ্ম, মায়া দ্বারা আবৃত হইযা জীব হইয়াছে। এ কথ। কি ? বা । এ কথাটা মায়াবাদমাত্র ব্ৰহ্ম-বস্তুকে মায়া কিরূপে স্পর্শ করিতে পারে ? ব্রহ্মকে যদি লুপ্তশক্তি বল, তবেই বা মায়াসান্নিধ্য