পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৩৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

·ළුෆ8 জৈবধৰ্ম্ম [ সপ্তদশ সৰ্ব্বধৰ্ম্মান পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ । অহং ত্বাং সৰ্ব্ব পাপেভ্যো মোক্ষয়িষ্যামি মা শুচ: ॥ (১) অর্থাৎ, স্মার্তধৰ্ম্ম, অষ্টাঙ্গযোগ, সাংখ্য, জ্ঞান, বৈরাগ্যাদি ধৰ্ম্মসকল “সৰ্ব্বধৰ্ম্ম’-শব্দে উক্ত হইয়াছে ; সেই সকল ধৰ্ম্মের দ্বারা জীবের প্রয়োজনসাধন হইতে পাবে না, এইরূপ বুদ্ধির উদ্দেশে সেই সেই ধৰ্ম্মত্যাগের কথার উল্লেখ । সচ্চিদানন্দঘনম্বরূপ আমি ব্রজবিলাসী কৃষ্ণই জীবের একমাত্র গতি, ইহা জানিয়া অনন্তভাবে ভোগমোক্ষাদিচিন্তা-রচিত হইয়া আমার শরণাগত হওয়াই প্রপত্তিকপ শ্রদ্ধা । সেই শ্রদ্ধা উদিত হইলে জীব কাদিতে কাদিতে বৈষ্ণব-সাধুব অমুগমনে রত হয় ; এইবার যে ,সাধুব আশ্রয় কবেন, তিনিই গুক । র। জীবের অনর্থ কয প্রকাব ? অনর্থ চাবি প্রকার—১ । স্ব-স্বরূপের ‘অপ্রাপ্তি’, ২। ‘অসতুষ্ণা’, ৩ । ‘অপরাধ”, ৪ । ‘হৃদয়-দৌৰ্ব্বল্য’। ‘আমি শুদ্ধ, চিৎকণ, কৃষ্ণদাস’ ইহা ভুলিয়া স্ব-স্বরূপ হইতে বদ্ধজীব দূরে পড়িয়াছেন, সেই স্ব-স্বরূপের অপ্রাপ্তিষ্ট জীবের প্রথম অনর্থ ; জড়বস্তুতে অহং-মমাদি বুদ্ধি করিয়া অসৎবিষযমুখাদির তৃষ্ণাকে অসত্ত্বঞ্চ বলি, পুত্ৰৈষণা, বিন্তৈষণা, স্বগৈৰ্ষণী—এই তিন প্রকার অসত্ত্বঞ্চা। অপরাধ দশবিধ, তাহ পরে বলিব । হৃদয়-দৌৰ্ব্বল্য হইতেই শোকাদির উদ্ভব। এই চাবিপ্রকার অনর্থ অবিস্তাবদ্ধ-জীৰের নৈসর্গিক ফল,—সাধুসঙ্গে শুদ্ধকৃষ্ণানুশীলনদ্বারা ঐ সমস্ত অনর্থ ক্রমে দূর হয়। যোগাদি অন্যান্ত পন্থায় প্রত্যাহার, যম, নিয়ম, বৈরাগ্যাদি সাধন-চতুষ্টয়ের ষে ব্যবস্থা আছে, তাহা উদ্বেগরহিত উপায় নয় ; তাহাতে পতনের অনেক আশঙ্কা আছে এবং তদ্বারা চরমে শুভ হওয়া নিতান্ত কঠিন। সাধুসঙ্গে কৃষ্ণানুশীলনই উদ্বেগশূন্ত উপায় । অনর্থগুলি যত যায়, মায়িক দশা ততই ( ১ ) ৭৯ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য ।