পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৩৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২৬ জৈবধৰ্ম্ম অষ্টাদশ এই বৃহদারণ্যক-বাক্যে প্রীতিই যে জীবের মুখ্য প্রয়োজন, তাহা জানিতে পারা যায়। বাবা, এরূপ বেদ ও ভাগবতপুরাণ-প্রমাণ বহুতর আছে। তৈত্তিরীয় উপনিষদ স্পষ্ট বলিয়াছেন (আঃ-৭ম অমৃ )—

  • কো হোবান্তাৎ কঃ প্রাণ্যাৎ । যদেষ আকাশ আনন্দো ন স্যাৎ । এষ হোবানন্দয়াতি ॥” (১)

আনন্দ প্রীতি-পর্য্যায়। সকল জীবই আনন্দের জন্য চেষ্টা করেন— মুমুক্ষু ব্যক্তিরা মোক্ষকেই আনন্দ মনে করেন, এইজন্তই তাহারা ‘মোক্ষ’ ‘মোক্ষ’ করিয়া উন্মত্ত ; বুভূক্ষু ব্যক্তিরা বিষয়ভোগকেই “আনন্দ’ বলেন । এই জন্তই তাহারা ভুক্তির পশ্চাৎ পশ্চাৎ ধাবিত—আনন্দ-লাভের আশাই র্তাহাদিগকে সেই সেই কার্যে প্রবৃত্তি দেয়। ভক্তগণ কৃষ্ণসেবানন্দের জষ্ঠ চেষ্টাবান, অতএব সৰ্ব্বপ্রকার লোকেই প্রীতিকে অন্বেষণ করিতেছেন ; এমন কি, প্রীতির জন্ত দেহপরিত্যাগেও প্রস্তুত । সিদ্ধান্ত এই ষে, প্রীতিই সকলের মুখ্য প্রয়োজন—ইহ কেহই অস্বীকার করিবেন না । নাস্তিকই হউন বা আস্তিকই হউন, কৰ্ম্মবাদীই হউন বা জ্ঞানবাদীই হউন, কামীই তউন বা নিষ্কামই হউন—সকলেই একমাত্র প্রীতিকে অন্বেষণ করিতেছেন। অন্বেষণ করিলেই যে প্রীতিকে পাওয়া যায়, এমন নয়। কৰ্ম্মবাদী স্বৰ্গলাভকে প্রীতিপ্রদ মনে করেন, কিন্তু "ক্ষীণে পুণ্যে মর্ত্যলোকং বিশন্তি” (গীঃ ৯২১ ) (২ )—এই ভায়ানুসারে যখন স্বৰ্গ হইতে চু্যত হন, তখন নিজের ভ্রম বুঝিতে পারেন। মনুষ্যলোকে રમે, পুত্র, যশ: ও বল লাভ করিয়াও তাহাতে প্রতি না পাইয়া স্বর্গমুখ কল্পনা করেন ; স্বৰ্গচ্যুতিসময়ে তদুত্তর-লোকসকলের মুখকে বহু সন্মান করিয়া থাকেন। যখন জানিতে পারেন (১) ২৪১ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য। (২) ২১৩ পৃষ্ঠা স্রষ্টব্য।