পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৩৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] নিত্যধৰ্ম্ম ও সম্বন্ধাভিধেয়প্রয়োজন ৩২৭ যে, মর্ত্যলোকে, স্বর্গে বা ব্ৰহ্মলোক পৰ্য্যন্ত মুখ অস্থায়ী ও অনিত্য, তপন বিরাগ লাভ কবিয়া ব্রহ্ম-নিৰ্ব্বণিকে অনুসন্ধান করেন ; ব্ৰহ্মনিবৃতি লাভ করিয। যখন আর মুখসম্ভোগ হয় না, তখন তটস্থ হষ্টয়া পন্থাস্তর অন্বেষণ করেন। নির্ভেদ-ব্রহ্মনিৰ্ব্বাণে আনন্দ বা প্রীতি কিরূপে সম্ভব হয় ? যখন আমিত্বের একেবারে লোপ হইল, তখন আনন্দের ভোক্তা কে ? আবার যখন সমস্ত বস্তু এক ইয়া গেল, তখন আনন্দই বা কোথায় ? আনন্দের অনুভবষ্ট বা কে করিলে ? আমার অামিত্ব গেলে ব্রহ্মকেই বা কে অনুভব করিবে ? ব্রহ্ম আনন্দ হইলে ও ভোক্তার অভাবে নিরর্থক ; তখন আনন্দ আছে কি না, এ বিষয়ের সিদ্ধান্তই বা কি ? আমিত্ব-নাশের সহিত আমার সৰ্ব্বনাশ ; আমার আর তখন কি রহিল যে, আমাৰ প্রয়োজন-লাভের অনুভব হইবে ? আমি নাই ত কিছুই নাই। যদি বল, ব্ৰহ্মৰূপ আমি রহিলাম, তাগও অকিঞ্চিংকন, কেননা, ব্রহ্মরূপ আমি ত নিত্য আছি, তাহার সাধন ও সিদ্ধি অকৰ্ম্মণ্য ও অযুক্ত ; অতএব ব্রহ্মনিৰ্ব্বাণটা প্রতিসিদ্ধি নয়—জীবের পক্ষে একটা ভাণ মাত্র ; সত্য হইলেও খপুষ্পের ন্যায় অনুভূত । ভক্তিতেই কেবল প্রয়োজন-সিদ্ধি দেখা যায়, ভক্তির চরম অবস্থাই প্রতি ; সেই প্রীতিই নিত্য । শুদ্ধকৃষ্ণ ও নিত্য, শুদ্ধপ্রীতি ও নিত্য , অতএব অচিন্ত্যভেদাভেদঅঙ্গীকারে প্রেমেব নিত্যতাই সিদ্ধ হয়, নতুবা জীবের চরম প্রয়োজন । যে প্রীতি, তাহাতে অনিত্যতা আসিয় তাহার সত্তাকে নাশ প্রার, এতন্নিবন্ধন সৰ্ব্বশাস্ত্রই অচিন্ত্যভেদাভেদ-রূপ সত্যসিদ্ধান্তকে দৃঢ় করিতেছেন; আর সমস্ত বাদই মতবাদ । ব্ৰজনাথ প্রেমতত্ত্ব বিচার করিতে করিতে পরমানন্দে পরিপ্ল ত হইয়া গৃহে গমন করিলেন।