পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

v জৈবধৰ্ম্ম [ প্রথম তবে পণ্ডিতেরা সকলেই কেন সেই এক অদ্বিতীয় ধৰ্ম্মের অনুশীলন করেন না” ? - , শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্ত প্রভুর পাদপদ্ম ধ্যান করিয়া পরমহংস বাবাজী মহাশয় কহিতে লাগিলেন,—“ওঙ্গে ভাগ্যবান ! ধৰ্ম্মতত্ত্ব যথাক্তান বলিতেছি, শ্রবণ করুন। যে বস্তুর যাহা নিত্য স্বভাব তাহাঙ্গ তাহার নিত্য ধৰ্ম্ম । বস্তুর গঠন হইতে স্বভাবের উদয় হয়। কৃষ্ণের ইচ্ছায় যখন কোন বস্তু গঠিত হয়, তখন সেই গঠনেৰ নিত্য সহচররূপ একটা স্বভাব হয়। সেই স্বভাবই সেই বস্তুর নিত্য ধৰ্ম্ম । পরে যখন কোন ঘটনাবশতঃ বা অন্ত বস্তু সঙ্গে সেই বস্তুর কোন বিকার হয় তখন তাহার স্বভাবও বিকৃত বা পরিবৰ্ত্তিত হয়। পরিবর্তিত স্বভাব কিছু দিনে দৃঢ় হষ্টলে নিত্য স্বভাবের ন্যায় সঙ্গী হইয় পড়ে । এই পরিবত্তিত স্বভাব, স্বভাব নয়। ইহার নাম নিসর্গ। "নিসর্গ স্বভাবের স্থলে বসিয় আপনাকে স্বভাব বলিয়া পরিচয় দেয় । যথা —জল একটী বস্তু। তারল্য তাহার স্বভাব। ঘটনাবশতঃ জল যখন শিলা হয়, তখন কাঠিন্ত তাহার নিসর্গ হইয়া স্বভাবের দ্যায় কার্য্য করে । বস্তুত: নিসর্গ নিত্য নয়, তাঙ্গ নৈমিত্তিক। কেননা, কোন নিমিত্ত হটতে উদিত হয় এবং সেই নিমিত্ত বিদূরিত হইলে স্বয়ং বিগত হয়। কিন্তু স্বভাব নিত্য। বিকৃত হষ্টলেও তাহা অনুস্থ্যত থাকে। কাল ও ঘটনাক্রমে স্বভাব অবশুষ্ট নিজ পরিচয় দিতে পারেন । - বস্তুর স্বভাবই বস্তুর নিত্যধৰ্ম্ম। বস্তুর মিসর্গট বস্তুর নৈমিত্তিক ধৰ্ম্ম । যাহাদের বস্তুজ্ঞান আছে তাহারা নিত্য ও নৈমিত্তিক ধৰ্ম্মের প্রভেদ জানিতে পারেন । যাহাদের বস্তুজ্ঞান নাই তাহারা নিসর্গকে স্বভাল মনে করেন এবং নৈমিত্তিক ধৰ্ম্মকে নিত্যধৰ্ম্ম মনে করেন” । - সন্ন্যাসী ঠাকুর জিজ্ঞাসা করিলেন, “বস্ত কাহাকে বলে এবং স্বভাক শঙ্গের অর্থ কি ?”