পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৩৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৫২ জৈবধৰ্ম্ম নিকট কৃষ্ণতৰ জানিবার জন্য ঐগুরুচরণাশ্রয় করিবেন। শ্রদ্ধাবান হইলেই জীব কৃষ্ণভক্তির অধিকারী চন ; পূৰ্ব্বপূৰ্ব্বজন্মের স্বকৃতিবলে সাধুদিগের মুখ হইতে হরিকথা শ্রবণানন্তর হরিবিষয়ে যে দৃঢ় বিশ্বাস জন্মে, তাহাই “শ্রদ্ধা । শ্রদ্ধার’ উদয় হইতে হইতেই একটু শরণাপত্তির উদয় হয় —শ্রদ্ধা ও শরণাপত্তি প্রায় একই তত্ত্ব। জগতে কৃষ্ণভক্তি সৰ্ব্বোপরি— ‘কৃষ্ণভক্তির অংকুল যাহা, তাহাই আমার কৰ্ত্তব্য ; শ্ৰীকৃষ্ণভক্তির প্রতিকূল যাহা, তাহাই আমাব বর্জনীয় ; কৃষ্ণই আমার একমাত্র রক্ষাকৰ্ত্তা ; আমি কৃষ্ণকে একমাত্র পালন কৰ্ত্ত বলিয়া বরণ করিলাম ; আমি অত্যন্ত দীন ও অকিঞ্চন এবং আমার স্বতন্ত্র ইচ্ছা ভাল নয়, কৃষ্ণের ইচ্ছার আনুগত্যই ভাল”—এইরূপ দৃঢ় বিশ্বাস র্যাহার হইয়াছে, তিনিই অনন্তভক্তির অধিকারী। অধিকার লাভ করিবামাত্রই ভক্তিশিক্ষার জন্য ব্যাকুল হইয়া যেখানে সদগুরু পান, র্তাহার চরণাশ্রয় করেন । বেদ বলিয়াছেন, ( মুঃ ১।২।১২ ) “তদ্বিজ্ঞানার্থং সদগুরুমেবাভিগচ্ছেৎ সমিৎপাণিঃ শ্রোত্ৰিয়ং ব্রহ্মনিষ্ঠম ’’ ( ছঃ ৬১৪৷২ ) (১), “আচাৰ্য্যবান পুরুষো বেদ।” (২) শ্ৰীহরিভক্তিবিলাসে সদগুরু-লক্ষণ ও শিষ্য-লক্ষণ বিস্তৃতরূপে বলিয়াছেন মূল কথা এই যে, শুদ্ধচরিত্র, শ্রদ্ধাবান পুরুষই শিস্য হইবার যোগ্য এবং শুদ্ধভক্তিবিশিষ্ট, ভক্তিতত্ত্ব-অবগত, সাধু চবিত্র, সরল নিলোভ, মায়াবাদশূন্ত ও কাৰ্য্যদক্ষ বক্তিই সদগুরু; এবস্তুতগুণবিশিষ্ট, সুৰ্ব্বসমাজমান্ত ব্রাহ্মণ হইলে অন্তবর্ণদিগের গুরু হইতে পারেন ; ব্রাহ্মণাভাবে শিষ্য কষ্টতে অন্তবর্ণেশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিও গুরু হটতে পারেন। এই সমস্ত বিধানের মূল তাৎপৰ্য্য এষ্ট যে, বর্ণাশ্রমবিচার পৃথক্ রাখিয়া যেখানে কৃষ্ণতত্ত্ববেত্তা পাওয়া शाभ्रे, তাহাকেই গুরু বলিয়া গ্রহণ করিতে পারা যায়। ব্রাহ্মণ-মধ্যে সেরূপ (১) ৯৩ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য । (২) আচার্ধ্য হইতে লন্ধীক্ষ ব্যক্তিই সেই পরব্রহ্মকে জানেন ।