পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৪১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] নিত্যধৰ্ম্ম ও সম্বন্ধাভিধেয়প্রয়োজন |రిyS আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে, সেইদিন হইতে বিজয়কুমারের চিত্তে শ্ৰীমতী ললিতাব দাসীভাব আসিয়া উপস্থিত হইল, তিনি বুদ্ধবাবাজীকে শ্ৰীললিত। কৰ্পে দর্শন করিতে লাগিলেন। বিজয়কুমার বলিলেন,—প্রভো, এ সম্বন্ধে আপনকার রূপায় আব কি বাকি রহিল ? বাবাজীমঙ্গশয় কছিলেন,— বাকি আর কিছুই নাই, কেবল তোমার সিদ্ধশরীরের নাম, রূপ, “পরিচ্ছদ ইত্যাদি তোমার জানা আখক। তুমি এক আমাৰ নিকট আসিলে আমি তাহা বলিয়া দিব। “যে আজ্ঞা” বলিযা বিজযকুমার সাষ্টাঙ্গ দণ্ডবৎ হুইয়া প্রণাম করিলেন । * ব্ৰজনাথ সেইদিন হইতে বৃদ্ধবাবাজীর স্বৰূপে মুণ্ডলকে দেখিতে লাগিলেন বাবাজী আজ্ঞা করিলেন—তুমি কোন সময় একক আসিলে আমি তোমাব সিদ্ধশধীবের নাম, রূপ, পরিচ্ছদাদি বলিয়া দিব । ব্ৰজনাথ “মে আজ্ঞা” বলিয়া দণ্ডবৎপ্রণাম করিলেন । ব্ৰজনাথ ও বিজয সেইদিন আপন-আপনকে কৃতকৃতাৰ্থ জানিয়া পবমানন্দে রাগামুগ-মার্গের সেবায় নিযুক্ত হইলেন , বাহে পূৰ্ব্ববৎ সমস্তই বহিল—পুরুষের দ্যায় সমস্ত ব্যবহারই রহিল, কিন্তু বিজয়কুমার অন্তরে, স্ত্রীস্বভাব হইয়া পড়িলেন ; ব্রজনাথ গোপবালকের স্বভাব লাভ করিলেন । অনেক রাত্র হইল ; হরিনামের মালায “হরে কৃষ্ণ তরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ স্তরে হরে । তরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে ॥’ এই গুরুদত্ত নামৰূপ মহামন্ত্র গান করিতে করিতে বিম্বপুস্কিরণীর অভিমুখে চলিতে লাগিলেন । প্রায় অদ্ধরাত্র ; চন্দ্রোদয় হইয়াছে ; কালোচিত ঋতু সৰ্ব্বদিকে মুখ বিস্তার করিতেছে। লক্ষ্মণটলার নিকটবৰ্ত্তী হইয়া তুষ্টজনে নিভৃতে আমলাক-বৃক্ষের তলে বসিলেন। বিজয়কুমার ব্ৰজনাথকে জিজ্ঞাস। করিলেন,—ওষ্ঠে ব্ৰজনাথ, আমাদের যাহা মানস ছিল, তাহ সম্পূর্ণ হইল । বৈষ্ণবকৃপাক্রমে অবশুই কৃষ্ণকৃপা হইবে । যখন ভবিষ্যতে যাহা যাহ।