পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] জীবের নিত্য-ধৰ্ম্ম শুদ্ধ ও সনাতন > © বিকৃতভাবে লিঙ্গ শরীরে উদিত হয়। ভোজন, পান ও জড়সঙ্গ মুখরূপে সেই বিকার অধিকতর গাঢ় হইয়া স্থল শরীরে দেখা দেয়। এখন দেখুন, জীবের নিত্যধৰ্ম্ম কেবল শুদ্ধ অবস্থায় প্রকাশ পায়। বদ্ধ অবস্থায় যে ধৰ্ম্মের উদয় হয় তাহা নৈমিত্তিক । নিত্যধৰ্ম্ম স্বভাবতঃ পূর্ণ, শুদ্ধ ও সনাতন । নৈমিত্তিক ধৰ্ম্ম আর এক দিবস ভাল করিয়া ব্যাথ্যা করিব। শ্ৰীমদ্ভাগবতশাস্ত্রে যে বিশুদ্ধ বৈষ্ণব-ধৰ্ম্ম লক্ষিত হয় তাহা নিত্যধৰ্ম্ম । জগতে যতপ্রকার ধৰ্ম্ম প্রচাবিত হইয়াছে, সে সমুদায় ধৰ্ম্মকে তিনভাগে বিভক্ত করিতে পারেন। নিত্যধৰ্ম্ম, নৈমিত্তিকধৰ্ম্ম ও অনিত্য ধৰ্ম্ম । যে সকল ধৰ্ম্মে ঈশ্বরের আলোচনা নাই ও আত্মার নিত্যত্ব নাই সে সকল অনিত্যধৰ্ম্ম। যে সকল ধৰ্ম্মে ঈশ্বর ও আত্মার নিত্যত্ব স্বীকার আছে কিন্তু কেবল অনিত্য উপায় দ্বারা ঈশ্বরপ্রসাদ লাভ করিতে চায়, সে সকল নৈমিত্তিক। যাহাতে বিমল প্রেম দ্বারা কৃষ্ণদাস্ত লাভ করিবার যত্ন আছে সেই সব ধৰ্ম্ম নিত্য। নিত্যধৰ্ম্ম দেশভেদে, জাতিভেদে, ভাষাভেদে, পৃথকৃ পৃথক্ নামে পরিচিত হইলেও তাহা এক ও পরম উপাদেয়। ভারতে যে বৈষ্ণব-ধৰ্ম্ম প্রচলিত আছে, তাহাই নিত্যধৰ্ম্মের আদর্শ। আবার আমাদের সদয়নাথ ভগবান শচীনন্দন যে ধৰ্ম্ম জগৎকে শিক্ষা দিয়াছেন, তাহাই বৈষ্ণবধৰ্ম্মেয় বিমল অবস্থা বলিয়া প্রেমানন্দী মৰ্চাজনগণ স্বীকার ও অবলম্বন করেন”। এষ্ট স্থলে সন্ন্যাসীঠাকুর করযোড়ে,বলিলেন, “প্রভো, আমি শ্ৰীশচীনননের প্রকাশিত বিমল বৈষ্ণব-ধৰ্ম্মের সর্ব উৎকর্ষ সৰ্ব্বক্ষণ দেখিতেছি। শঙ্করাচার্য্যপ্রকাশিত অদ্বৈতমতের হেয়ত্ব অনুভব করিতেছি বটে, কিন্তু আমার মনে একটা কথা উদিত হইতেছে, তাছা ভবনীয় ঐচরণে জ্ঞাপন না করিয়া রাখিতে চাহি না। সে কথাটা এই—প্ৰভু শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্ত যে