পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৪৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8\Le জৈবধৰ্ম্ম [ পঞ্চবিংশ নিরস্তর নামাভাস করিয়া থাকেন, তাহারা বহুদিনেও প্রেমলাভ করেন না, ইহার কারণ কি ? বাবাজী । রহস্ত এই যে, ভক্তাভাস ব্যক্তিগণ শুদ্ধভক্তিলাভের যোগ্য হষ্টতে পারিলেও অনন্তভক্তিৰ অভাবে যাহাকে তাহাকে সাধু বলিয়া সঙ্গ করে তাহাতে মায়াবাদী প্রভূতির কুসঙ্গক্রমে শুদ্ধবৈষ্ণবের প্রতি সহসা অপরাধী হইয়ু স্বীয় উন্নতিপথ রোধ করত: তত্তৎসঙ্গক্রমে মায়াবাদাদি অপসিদ্ধান্তে অবনত হইয় পড়ে ; সুতরাং শুদ্ধভক্তি হহইতে দূরে পড়িয়া ক্রমশঃ অপরাধিশ্রেণীভুক্ত হয়। যদি তাহাদের পূৰ্ব্বস্বকৃতি প্রবল হইয়া কুসঙ্গ হইতে তাহাদিগকে পৃথক্ রাখে এবং সৎসঙ্গ আনিষ উপস্থিত কবে, তবেই তাহাদিগের শুদ্ধবৈষ্ণবতা লাভ হয় । বিজয় । প্রভো, নামাপরাধের ফল কি? বাবাজী। পঞ্চবিধ পাপ কোটগুণিত হইলেও নামাপরাধের তুল্য হয় না ; নামাপরাধের ফল সহজেই বুঝিতে পাবিবে। বিজয় । প্রভো, নামাপরাধের ফল যেন তদ্রুপ , নামাপরাধসময়ে যে নামাক্ষর উচ্চারিত হয়, তাহার কি কোন সুফল নাই ? বাবাজী । নামাপরাধী যে ফল বাঞ্ছা করিয়া নামোচ্চারণ করেন, নাম সেই ফল তাহাকে দিয়া থাকেন ; কিন্তু কখনই তাহাকে প্রেমফল দেন না। সঙ্গে সঙ্গে তাহার নামাপরাধের ফলভোগ হয়। নামাপরাধী শঠতাসহকারে যে নাম করে, তাহার ফল এইরূপ । অনেক সময়ে নামাপরাধী শঠতার অনবসরে নাম উচ্চারণ করেন ; সেই নাম তাহার স্বরুতিমধ্যে সংগৃহীত হয়, ক্রমে ক্রমে সেই স্বকৃতি পুষ্ট হইলে শুদ্ধনামপরায়ণ সাধুর সঙ্গ হয় ; তখন নামূাপরাধী অবিশ্রান্ত নাম গ্রহণপূর্বক নামাপরাধ হইতে মুক্তিলাভ করেন ; এই প্রণালীক্রমে স্বপ্রতিষ্ঠিত মুমুকুগণও ক্রমশঃ হরিভক্ত হইয়াছেন।