পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৪৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] রসবিচার আরম্ভ 8©Ꮔ নাম শ্রবণ করতঃ বলিলেন,—আজ আমি শ্ৰীধামবাসী দর্শন কবিয়া ধন্ত হইলাম। বল, শ্ৰীমায়াপুবে আজকাল রঘুনাথদাস ও গোরাচাদদাস প্রভৃতি বৈষ্ণবগণ কেমন আছেন? আহা ! রঘুনাথদাসকে মনে পড়িলে আমার শিক্ষাগুক শ্ৰীদাসগোস্বামীকে মনে পড়ে। তখনই গুকগোস্বামী স্বীয শিষ্য শ্ৰীধ্যানচন্দ্রকে ডাকিযা বলিলেন যে, এই দুই মহাত্মা আজ এখানে প্রসাদ পাইবেন । ব্ৰজনাথ ও বিজয় শ্ৰীধ্যানচন্দ্রেব প্রকোষ্ঠে গিয়া শ্ৰীমহাপ্রসাদ প্রাপ্ত হইলেন । মহাপ্রসাদ-সেবার পর তাহাদেব তিন জনের অনেক কথোপকথন হইল। বিজয়কুমারের শ্ৰীভাগবতে পাণ্ডিত্য এবং এজনাথেব সৰ্ব্বশাস্ত্রের জ্ঞান জানিতে পারিয৷ ধ্যানচন্দ্র গোস্বামী পরমাননা লাভ করত: গুকগোস্বামীর নিকট সমস্ত কথা জানাইলেন । গুবগোস্বামী কপা করিয়া বলিলেন—তোমরা দুষ্টজন আমার হৃদযের ধন, যে কয়দিন শ্রীপুরুষোত্তমে থাক, আমাকে দর্শন দিবে। বিজয়কুমাব ও ব্রজনাথ সেই সময কহিলেন,—প্রভো, শ্ৰীমাযাপুবের রঘুনাথদাস বাবাজী মহাশয় আমাদিগকে অনেক কৃপা করিয়াছেন এবং আপনার শ্ৰীচরণে উপদেশ গ্রহণ কবিতে আজ্ঞা করিয়াছেন। গুরুগোস্বামী বলিলেন,–রঘুনাথদাস বাবাজী পরমপণ্ডিত, তিনি যে যে উপদেশ দিয়াছেন, তাহা যত্নপূর্বক পালন করিবে। যদি আর কিছু জানিতে ইচ্ছা কর, কল্য মধ্যাহ-ধূপের পর এখানে আসিয়া প্রসাদ সেবা করতঃ জিজ্ঞাসা করিবে । গুরুগোস্বামী এই আজ্ঞা প্রাপ্ত হইয়া তাহার। দুইজন হরচণ্ডীসাহি গমন করিলেন। " পরদিবস নির্ণীত সময়ে উভয়ে ত্রীরাধাকান্ত মঠে প্রসাদ সেবা করতঃ গুরুগোস্বামীর চরণে নিবেদন করিলেন,—প্রভো, আমরা রসতত্ত্ব জানিতে বাসনা করি। কৃষ্ণভক্তিরস আপনার শ্ৰীমুখে শ্রবণ করিলে আমরা চরিতার্থ হইব। আপনি শ্ৰীনিমানন্দ-সম্প্রদায়ে প্রধান-গুরু এবং শ্ৰীমহাপ্রভূর স্থানে ঐস্বরূপ গোস্বামীর গদিতে জগদগুরুরূপে বিরাজমান। আপনার শ্ৰীমুখে