পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৪৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় } রসবিচার 88ማት ব্ৰজনাথ । এই বাহবিকারগুলি কি প্রকারে স্তাযীভাপের রসাস্বাদনের পুষ্ট কবিতে পাবে ? রসাস্বাদন ভিতরে হইলে এই সকল অমুভাব বহিঃশরীবে প্রকাশ পায়,—তাহারা স্বয়ং পৃথক সামগ্রী কিরূপে হইল ? গোস্বামী। বাবা, তুমি যথার্থ দ্যায়শাস্ত্র পণ্ডিযাছ—তোমার ন্যায় স্বক্ষ প্রশ্ন করিতে এ পর্য্যস্ত কাহাকে ও দেপি নাই। এ বিষয়ে আমি যখন শ্রীল পণ্ডিতগোস্বামীর নিকট রসতন্ত্র অধ্যয়ন কবি, তপন আমার মনেও এইরূপ একটা বিতর্ক হইয়াছিল, ঐগুকদেবেব রূপায় সেই সন্দেহ দূর হয়। ইহার গৃঢ তাৎপৰ্য্য এই যে, জীবের শুদ্ধসত্ত্বে যে চিন্তেব ক্রিয়া আছে, তাহ যখন বিভাবিত হইয়া ক্রিয়ার সহায়তা কবে, তপন তাঙ্গতে স্বাভাবিক কোন বৈচিত্র্য উদিত হয়, সেই বৈচিত্র্য চিত্তকে বিবিধ রূপে উৎফুল্ল কবে । চিত্ত্ব উৎফুল্ল হইলে শরীরে তাহার পিকতি-ফলেব যাহা উদ্য হয়, তাহাই উদ্ভাস্বর। সেই পিকৃতি-ফা (নৃত্যাদি ) বহুবিধ-চিত্ত নৃত্য করিলে দেহ নৃত্য করে, চিত্ত গান করিলে জিহবা গান করে, এইরূপ জানিবে। উদ্ভাস্বরক্রিযাত যে মুলক্রিয়া তাঙ্গা নয়, চিত্তেব বিভাবেব পোষক যে অকুভাব উদিত হয়, তাঙ্গাই উদ্ভস্ববরূপে দেহে ব্যাপ্ত হয । চিহুে স্থায়ীভাব বিভাবের দ্বারা ভাবিত হইবামাত্র চিত্তের দ্বিতীয় ক্রিয়া অনুভা বরূপে কাৰ্য্য করিতে থাকে, সুতরাং অনুভব একটী পৃথক্ সামগ্রী বটে ; যখন তাহা গীত-জন্তাদিদ্বারা প্রকাশিত হয়, তখন তাহা শীত এবং যখন তাহা নৃত্যাদির দ্বার প্রকাশিত হয়, তখন তাহাদিগকে ক্ষেপণ’ বলে। শরীরের উৎফুল্লতা, রক্তোদগম, অস্থিসন্ধিবিয়োগ, সন্ধিকৰ্ষণ ইত্যাদি আরও কয়েক প্রকার অনুভাব-লক্ষণ আছে, তাহ অতি বিরল বলিয়া বলিলাম ন। প্ৰাণেশ্বর নিমানন্দের কুৰ্ম্মাকার প্রভৃতি যে সকল অত্যাশ্চৰ্য্য অমুভাব দৃষ্ট হইয়াছে, তাহা সাধক-ভক্তে দ্রষ্টব্য নয়। গুরুগোস্বামীর এই সকল গুঢ় উপদেশ শ্রবণ করিয়া জিজ্ঞাহৰ,