পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२० জৈবধৰ্ম্ম [ দ্বিতীয় দেশে যে নানাপ্রকার ধৰ্ম্ম প্রচলিত আছে, সে সব ধৰ্ম্মের বিষয় কিরূপ ভাবনা করিব ? বাবাজী মহাশয় বলিলেন,—মহাত্মন, ধৰ্ম্ম এক—দুই বা নানা নহে। জীব মাত্রেরই একটা ধৰ্ম্ম । সেই ধৰ্ম্মের নাম বৈষ্ণব-ধৰ্ম্ম । ভাষাভেদে, দেশভেদে ও জাতিভেদে ধৰ্ম্ম ভিন্ন হইতে পাবে না। অনেকে নানা নামে জৈবধৰ্ম্মকে অভিহিত করেন ; কিন্তু পৃথক্ ধৰ্ম্মের স্বষ্টি করিতে পারেন না। পরম বস্তুতে অণু বস্তুর যে নিৰ্ম্মল চিন্ময় প্রেম, তাহাষ্ট জৈব-ধৰ্ম্ম অর্থাৎ জীব সম্বন্ধীয় ধৰ্ম্ম । জীবসকল নানা প্রকৃতিসম্পন্ন হওয়ায় জৈব-ধৰ্ম্মটী কতকগুলি প্রাকৃত আকারের দ্বারা বিকৃতরূপে লক্ষিত হয়। এইজন্য বৈষ্ণব-ধৰ্ম্ম নাম দিয়া জৈব-ধৰ্ম্মের শুদ্ধাবস্থাকে অভিহিত করা হইয়াছে। অন্যান্ত ধৰ্ম্মে যে পরিমাণে বৈষ্ণব-ধৰ্ম্ম আছে, সেই পরিমাণে সে ধৰ্ম্ম শুদ্ধ। কিছু দিবস পূৰ্ব্বে আমি শ্ৰীব্রজধামে ভগবৎপার্ষদ শ্ৰীল সনাতন গোস্বামীর শ্ৰীচরণে একটা প্রশ্ন করিয়াছিলাম। যাবনিক ধৰ্ম্মে যে এস্ক', বলিয়া শব্দ আছে তাহার অর্থ কি নিৰ্ম্মল প্রেমা, না আর কিছু—এই আমার প্রশ্ন ছিল। গোস্বামী মহোদয় সৰ্ব্বশাস্ত্রে পণ্ডিত, বিশেষতঃ যাবনিক ভাষায় তাহার পাণ্ডিত্যের অবধি নাই। “ ঐরাপ, ঐজীব প্রভৃতি অনেক মহামছোপাধ্যায় সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন। ঐল সনাতন গোস্বামী মহোদয় কৃপা করিয়া এই কথাগুলি বলিয়াছিলেন। “হা, এস্ক, শব্দের অর্থ প্রেম বটে। যাবনিক উপাসকগণ ঈশ্বরভজন বিষয়েও এস্ক শব্দ ব্যবহার করেন ; কিন্তু প্রায়ই এস্কং শবে মায়িক প্রেমকে লক্ষ্য করিয়া থাকেন। "লয়লা মজনুর” ইতিবৃত্ত ও হাফেজের এস্ক -ভাব বর্ণন দেখিলে মনে হয় যে, যবনাচার্ধ্যগণ শুদ্ধ চিৎ বস্তু যে কি, তাহা উপলব্ধি করিতে পারেন নাই। স্থূলদেহের প্রেম বা কখন লিঙ্গদেহের প্রেমকে তাহার এস্ক, বলিয়া লিখিয়াছেন।