পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৪৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] রসবিচার 8Wり> গোস্বামী। চিদ্বিষয়ে অনন্তবুদ্ধিযুক্ত পণ্ডিতগণ ভাবনা-বিষয়ে গাঢ় চিৎসংস্কারদ্বারা স্বীয় চিত্তে যে ভাবকে উদয় করান, তাহাই এই রসতন্ত্রে ভাব-শব্দবাচ্য। আমি পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি যে, ভাব দুইপ্রকার—চিস্তাভাব ও অচিন্তাভাব। চিস্ত্যভাবের বিষয়ে তর্ক চলে, কেননা বদ্ধজীবের বদ্ধমনে যে সমস্ত ভাব উদয় হয়, সকলই জড়ধৰ্ম্ম-প্রস্থত। ঈশ্বর বিষয়েও জড়ভাবসকল চিন্তাভাব। ঈশ্বর-সম্বন্ধে বস্তুতঃ চিন্তাভাব হয় না, কেননা, ঈশ্বরতত্ত্ব জড়াতীত। চিস্তাভাব হয় না বলিয়াই ঈশ্বরতত্ত্বে কোন ভাব নাই এরূপ স্থির করা ভাল নয়। ঈশ্বর সম্বন্ধে সমস্তভাবই আছে। তাহ অচিন্ত । সেই অচিন্তাভাব হৃদয়ে আনিয়া অনন্ত বুদ্ধির সহিত আলোচনা করিতে করিতে সেই অচিন্ত্য ভাবগণের মধ্যে একটাকে স্থায়ীভাব জানিয়া অন্যান্ত অচিন্ত্যভাবগণকে সামগ্রীরূপে স্থায়ীভাবকে স্বাস্তত্বে বরণ কর। তবেষ্ট তোমার নিত্যসিদ্ধ অথওরস উদয় হইবে । ব্ৰজনাথ। প্রভো, এ বিষযে গাঢ় সংস্কার কাহাকে বলি ? গোস্বামী। বাবা, বিষয় লিপ্ত হইয়া বহুজন্মকৰ্ম্মচক্রে ভ্রমণ করিতে করিতে প্রাক্তনী ও আধুনিক দুই প্রকাব সংস্কারে তোমার চিত্ত গঠিত হইয়াছে। তোমার বিশুদ্ধ আত্মায় যে শুদ্ধ চিত্তবৃত্তি ছিল, তাহা বিকৃত হইয়াছে। আবার স্বকৃতি বলে সাধু সঙ্গে ভজন প্রক্রিয়াদ্বারা যে সংস্কার হইতেছে তারা তোমার বিকৃত সংস্কার দূর হইলে প্রকৃত সংস্কার উদয় হয় । সেই সংস্কার যত গাঢ় হয়, ততই অচিন্ত্যতত্ত্ব হৃদয়ে মূৰ্ত্তি হয়। তাহাকেই গাঢ় সংস্কার বলা যায় । ব্রজ। এখন জানিতে ইচ্ছা করি, এই রসতৰে কাহার অধিকার ? গোস্বামী। যিনি পূৰ্ব্বোক্ত ক্রমে গাঢ়সংস্কারদ্বারা অচিস্ত্যভাব হৃদয়ে আনিতে পারেন, কেবল র্তাহারই এই রসাতৰে অধিকার । অন্তের ইহাতে অধিকার নাই। ঐ রূপ বলিয়াছেন—