পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२ জৈবধৰ্ম্ম [ দ্বিতীয় আসার পূৰ্ব্বেই তাহার গঠন। চিজগতে কালের ভূত-ভবিষ্যৎ রূপ অবস্থা না থাকায় সেই কালে যাহা যাহা থাকে, সকলই নিত্য বর্তমান । জীব ও জীবের ধৰ্ম্ম বস্তুতঃ নিত্য বর্তমান ও সনাতন । এ কথাটী আমি বলিলাম বটে, কিন্তু আপনি যতদূর শুদ্ধ চিজগতের ভাব পাইয়াছেন ততদূরই আপনার এ কথার যথার্থ অর্থ উপলব্ধি হইবে। আমি আভাসমাত্র দিলাম, আপনি অর্থ টী চিৎসমাধিদ্বারা অনুভব করিয়া লইবেন । জড়-জাত যুক্তি ও তর্কদ্বারা এ সকল কথা বুঝিতে পরিবেন না। জড়বন্ধন হইতে অনুভবশক্তিকে যত শিথিল করিতে পারিবেন, ততই জড়াতীত চিজগতের অনুভব উদিত হইবে । আদৌ স্বীয় শুদ্ধ স্বরূপের অনুভব এবং সেই স্বরূপের শুদ্ধ চিন্ময় কৃষ্ণনাম অনুশীলন করিতে করিতে জৈব-ধৰ্ম্মের প্রবলরূপে উদয় হইতে থাকিবে । অষ্টাঙ্গ যোগ বা ব্ৰহ্মজ্ঞান দ্বারা চিদমুভব বিশুদ্ধ হইবে না। সাক্ষাৎ কৃষ্ণামুশীলনই নিত্যসিদ্ধ ধৰ্ম্মোদয় করাইতে সমর্থ । আপনি নিরস্তর উৎসাহের সহিত হরিনাম করুন । হরিনাম-অনুশীলনই একমাত্র চিদমুশীলন। কিছুদিন হরিনাম করিতে করিতে সেই নামে অপূৰ্ব্ব অনুরাগ জন্মিবে । সেই অসুরাগের সঙ্গে সঙ্গেই চিজগতের অনুভব উদিত হইবে । ভক্তির যত প্রকার অঙ্গ আছে, তন্মধ্যে শ্ৰীহরিনাম-অনুশীলনই প্রধান ও শীঘ্র ফলপ্রদ হয় । অতএব শ্ৰীকৃষ্ণদাসের উপাদেয় গ্রন্থে এই কথাটী শ্ৰীমহাপ্রভুর উপদেশ বলিয়া লিখিত আছে । " “ভজনের মধ্যে শ্রেষ্ঠ নববিধ ভক্তি। কৃষ্ণপ্রেম কৃষ্ণ দিতে ধরে মহাশক্তি ॥ তার মধ্যে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ নাম-সংকীৰ্ত্তন। নিরপরাধে নাম কৈলে পায় প্রেমধন ॥ ६5: 5: श्रख्] 8र्थ १०, १२ .