পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৫১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] মধুর রসবিচার 8boፃ ইচ্ছা কবি । আমি ঐউজ্জ্বলনীলমণি পাঠ কবিতে কবিতে কোন কোন বিষযের তাৎপর্য বুঝিতে অক্ষম হইয়াছি। গুরুদেব তাহা শ্রবণ করিয়া বলিলেন,—শ্ৰীবাবা তুমি আমার প্রিয় শিষ্য, তুমি যে বিষয় জিজ্ঞাসা করিবে, আমি যথাসাধ্য উত্তব দিব । বিজয়কুমার কহিতেছেন,—প্রভো, মধুব রসকে মুখ্যবসেব মধ্যে অতি বহস্তোৎপাদক রস বলিয়া উক্তি কব৷ হইযাছে। কেনই না বলা হইবে ? যখন শাস্ত, দাস্ত, সখ্য ও বাৎসল্য বসেব সমস্ত গুণ মধুর রসে নিত্য আছে এবং সেক্ট সেট রসে আর যে কিছু চমৎকাবিতার অভাব আছে, তাহাও মধুর বসে মুন্দরব্রুপে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে, তখন যে মধুব রস সৰ্ব্বোপবি ইহাতে আর সন্দেহ কি ? মধুবরস নিবৃত্তিপথাবলম্বী ব্যক্তিদিগের শুষ্কতা:নিবন্ধন তাহদের পক্ষে নিতান্ত অনুপযোগী ! আবার জড়প্রবৃত্তিপর ব্যক্তিদিগের পক্ষে জড়বিলক্ষণ ধৰ্ম্ম দুরূহ হয়। ব্রজের মধুব রস যখন জড়ধৰ্ম্মের শৃঙ্গার রস অপেক্ষা সম্পূর্ণরূপে বিলক্ষণ, তখন সহসা তাহ সাধ্য নয়। এবস্তৃত অপূৰ্ব্ব রস কিরূপে অত্যস্ত চেয়, স্ত্রীপুরুষগত জড় রসেব সদৃশ হষ্টয়াছে ? গোস্বামী । বাবা পিজয়, জড়ের যত বিচিত্ৰত সে সমুদয়হ যে চিত্তত্ত্বের বিচিত্রতার প্রতিফলন তাহা তুমি ভালরূপে জান। জড় জগৎ চিজগতের প্রতিফলন। ইহাতে গুঢ়তত্ত্ব এই যে, প্রতিফলিত প্রতীতি স্বভাবতঃ বিপৰ্য্যয়ধৰ্ম্ম-প্রাপ্ত অর্থাৎ আদর্শে যাহা সৰ্ব্বোত্তম, প্রতিফলনে তাহা সৰ্ব্বধম | আদর্শে যাহা অত্যন্ত নিম্নস্থ, প্রতিফলনে তাহা উচ্চস্থ । মুকুরে –তিফলিত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বিপৰ্য্যয়ভাব বিচার করিলেই সহজে বুঝিতে পারা যায়। পরম বস্তু স্বীয় অচিন্তাশক্তিক্রমে সেই শক্তির ছায়ায় প্রতিফলিত হইয়া জড়সত্তারূপে বিস্তৃত হইয়াছে। সুতরাং পরম বন্তর ধৰ্ম্মগুলি জুড়ে বিপৰ্য্যস্তভাবে লক্ষিত হয় । পরম বস্তগত রস সেইরূপে