পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨.8 জৈবধৰ্ম্ম [ তৃতীয় —কৰ্ম্মকাণ্ডে নিত্য-নৈমিত্তিক শব্দগুলি কেবল ঔপচারিক মাত্র-ভক্তিহীন ব্রাহ্মণের ধিক্কার—অনুদিতবিবেক ও উদিতবিবেক মানব-উপায় ও উপেয়—চিত্তত্ত্বই উপাদেয়— নৈমিত্তিক হেয় মিশ্র—অচিরস্থায়ী—জিজ্ঞাসু ব্রাহ্মণের পরিচয়—তাহার বৈষ্ণবদাসের প্রতি শ্রদ্ধ—মাধবদাস বাবাজীর কথা—লাহিড়ী মহাশয়ের তাহার কথা শ্রবণ—মাধবদাসের বাট পরিত্যাগ পূর্বক লাহিড়ী মহাশয়ের প্রদ্যুম্নকুঞ্জে অবস্থান । এক দিবস এক প্রহর রাত্রের পর সন্ন্যাসী ঠাকুর হরিনাম গান করিতে করিতে শ্ৰীগোক্রমের উপবনের একান্তে একটী উচ্চভূমিতে বসিয়া উত্তর দিকে দৃষ্টিপাত করিতে লাগিলেন। তখন পূর্ণচন্দ্র উদয় হইয়া হীনবদ্বীপমণ্ডলে একটা অপূৰ্ব্ব শোভা বিস্তার করিয়াছিল । অনতিদূরে শ্ৰীমায়াপুর নয়নগোচর হইতে লাগিল। সন্ন্যাসী ঠাকুর বলিতে লাগিলেন—আহা ! ঐ যে একটী আশ্চর্য্য আনন্দময় ধাম দেখিতেছি । বৃহৎ বৃহৎ বত্বময় অট্টালিকা, মন্দির ও তোরণসমূহ কিরণমালা বিস্তার করিয়া জাহ্নবীর তীরমণ্ডলকে উজ্জ্বলিত করিতেছে। অনেক স্থানে হরিনাম সংকীৰ্ত্তনের শব্দ তুমুল হইয়া গগনমণ্ডলকে বিদারিত করিতেছে। নারদের দ্যায় কত শত ভক্তগণ বীণাযন্ত্রে নাম গান করিতে করিতে নৃত্য করিতেছেন। কোন দিকে শ্বেতকলেবর দেবদেব মহাদেব ডম্বরু ধরিয়া “হ বিশ্বম্ভর, দয়া কর”—বলিয়া উদও নৃত্য করিতে করিতে পতিত হইতেছেন। চতুর্মুখ ব্ৰহ্ম কোন স্থলে বসিয়া বেদবাদী ঋষিদিগের সভায় “মহান প্রভুর্বৈ পুরুষঃ সত্ত্বস্তৈম্বঃ প্রবর্তকঃ। মুনিৰ্ম্মলামিমাং প্রাপ্তিমীশানো জ্যোতিরব্যয়: ॥” ( ১ ) এই বেদমন্ত্র পাঠ করিয়া ইহার নিৰ্ম্মল ব্যাখ্যা করিতেছেন । কোন স্থলে ইন্দ্রাদি দেবতাগণ “জয় প্ৰভু গৌরচন্দ্র, জয় নিত্যানন্দ” বলিয়া লম্প ঝম্প প্রদান করিতেছেন। পক্ষী (১) সেই পুরুষই মহাপ্রভু ; তিনিই বুদ্ধিবৃত্তির প্রবর্তক। তাহার কৃপায়ই স্বনির্গল। শাভিপ্রাপ্তি ঘটে। তিনিই নিয়ন্ত ও অব্যয় ।