পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ অধ্যায় নৈমিত্তিক ধৰ্ম্ম অসম্পূর্ণ, হেয়, মিশ্র ও অস্থায়ী ২৭ বৈষ্ণবসকল পরস্পর ইষ্টগোষ্ঠ করিতেছেন। সমাগত বৈষ্ণবসকল তুলসী পরিক্রমা করিয়া বৈষ্ণবদিগকে দণ্ডবৎ প্রণাম করিতেছেন । এমন সময় বৈষ্ণবদাস আসিয়া শ্রীবৃন্দাদেবীকে পবিক্রমা করিয়া বৈষ্ণবগণের পদরজে গড়াগড়ি দিতে লাগিলেন । কোন কোন মহাত্মা কণাকণী করিয়া বলিতে লাগিলেন,—ইনিই ন৷ সেই সন্ন্যাসী ঠাকুর । আজ ইহার কি আশ্চৰ্য্যমূৰ্ত্তি হইয়াছে। বৈষ্ণবগণের সম্মুখে গড়াগড়ি দিতে দিতে বৈষ্ণবদাস বলিতেছেন,— * অদ্য আমি বৈষ্ণবপদরজঃ লাভ করিয়া কৃতার্থ হইলাম। ঐ গুরুদেবের কৃপায় আমি ভালরূপে জানিয়াছি যে, জীবের বৈষ্ণবপদরজঃ ব্যতীত আর গতি নাই । বৈষ্ণবের পদরজঃ, বৈষ্ণবের চরণামৃত ও বৈঞ্চলের অধরামৃত এই তিন বস্তু ভবরোগের ঔষধ ও ভবরোগীর পথ্য। ইহাতে কেবল ভবধোগ বিগত হয় এরূপ নয়, কিন্তু বিগতরোগ পুরুষের পরম ভোগ লাভ হয়। হে বৈষ্ণবগণ, আমি যে নিজের পাণ্ডিত্য-অহঙ্কার প্রকাশ করিতেছি, এরূপ মনে করিবেন না। আমার হৃদয় আজ কাল সমস্ত অহঙ্কারশূন্ত হইয়াছে। ব্রাহ্মণকুলে জন্ম হইয়াছিল, সৰ্ব্বশাস্ত্র পাঠ করিয়াছিলাম, চতুর্থাশ্রমে প্রবেশ করিয়াছিলাম। তখন আর আমার অহঙ্কারের ইয়ত্ত ছিল না। যদবধি আমি বৈষ্ণবতত্ত্বে আকৃষ্ট হইয়াছি, ততদিন আমার হৃদয়ে একটী দৈন্তবীজ রোপিত হইয়াছে। আমি ক্রমে ক্রমে আপনাদের কৃপায় জন্মাৰক্ষাব, বিদ্যামদ ও আশ্রম-গৌরব দুর করিয়াছি। এখন আমার মনে হয় যে, আমি একটা নিরাশ্রিত ক্ষুদ্র জীব। বৈষ্ণব-চরণাশ্রয় ব্যতীত আমার আর কোন প্রকার গতি নাই। ব্রাহ্মণত্ব,বিছা ও সন্ন্যাস ইহারা আমাকে ক্রমশঃ অধঃপাতিত করিতেছিল। আমি সরলভাবে আপনাদের চরণে সকল কথা বলিলাম। এখন আপনাদের দাসকে যাহা করিতে হয় করুন ।