পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৫৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(to 8 জৈবধৰ্ম্ম [ ত্রয়স্ত্রিংশৎ নিষেধ করিয়াছেন। রসকে ধৰ্ম্মশ্রিত করিবার জষ্ঠ কবিগণ জড়ালঙ্কারে পরোঢ়াকে পরিত্যাগ করিয়াছেন । চিদ্বিলাস রসই নিত্যরস। সেই রসের হেয়-প্রতিফলন মায়িক স্ত্রী পুরুষগত শৃঙ্গার রস । সুতরাং জড়ীয় শৃঙ্গার রস অত্যন্ত কুষ্ঠিত ও বিধিপরবশ । এষ্ট কারণেই প্রাকৃত ক্ষুদ্র নায়িকাসম্বন্ধে পরোঢ় পরিত্যক্ত হইয়াছে। কিন্তু যেখানে সচ্চিদানন্দপিগ্রহ কৃষ্ণই একমাত্র পুরুষ অর্থাৎ নায়ক, সেখানে রসপুষ্টির জন্য যে পরোঢ়ামিলন, তাহ নিন্দার বিষয় নয়। এ তত্ত্বে অতি ক্ষুদ্র মায়োপাধিক বিবাহবিধির স্থান নাই। সেই গোলোকবিহারী যখন স্বীয় পরম পরকীয়রসকে প্রপঞ্চমধ্যে গোকুলের সহিত আনয়ন করিয়াছেন, তখন গোকুলললনাদিগের সম্বন্ধে জড়ালঙ্কারগত পরোঢ়ানিন্দ স্থান পায় না। বিজয় । গোকুল-ললনাপ্রেমের উৎকৃষ্ট চিহ্ন কি কি প্রকাশ আছে ? গোস্বামী। গোকুলললনাদিগের কৃষ্ণে কেবল নন্দ-নন্দনত্ব স্মৃত্তি। সেই নিষ্ঠাক্রমে যে সমস্ত ভাবমুদ্রা উদিত হয়, তাহা অভক্ত তাকিকগণ দূরে থাকুক, ভক্তগণের পক্ষেও দুর্গম । নন্দনন্দনে ঐশ্বৰ্য্যভাব মাধুৰ্য্যাধিক্যক্রমে প্রায়ই অলক্ষিত, কৃষ্ণ পরিহাস করিয়া নিজ চতুভূজত্ব প্রকাশ করায় গোপীগণ তাহ আদর করেন নাই । আবার শ্রীরাধার সন্নিকর্ষে সে চতুভূজত্ব লুপ্ত হইল। দ্বিভূজ ক্লষ্ণ প্রকাশিত হইলেন । এ সমস্তই ঐরাধার নিগুঢ় পরকীয় রসভাবের ফল । বিজয় । চরিতার্থ হইলাম। প্রভো, এখন নায়িকাভেদ ব্যাখ্যা করুন । গোস্বামী। নায়িকা তিন প্রকার অর্থং স্বকীয়া, পরকীয়া ও সামান্ত । চিদ্রসের স্বকীয়া পরকীয়াদিগেব কথা বলিয়াছি। এখন সামান্তার কথা. বলিব। জড়ালঙ্কারিক পণ্ডিতগণ এইরূপ স্থির করিয়াছেন যে, ‘সামান্তা” নায়িকাগণ বেশু, তাহারা কেবল অর্থলোভী। গুণহীন নায়কে দ্বেষ এবং গুণবান নায়কে জমুরাগ করে না। সুতরাং তাহদের শৃঙ্গার কেবল,