পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] নৈমিত্তিক ধৰ্ম্ম অসম্পূর্ণ, হেয়, মিশ্র ও অস্থায়ী ৩১ অনুরাগ তখনও হয় না। মায়িক বিষয়ে ‘আমি ও আমার’—এই দুইটী বুদ্ধি গাঢ়রূপে কাৰ্য্য করিতে থাকে। এই দেহ আমার ও এই দেহই আমি’—এই বুদ্ধিক্রমে এই জড় দেহের মুখসাধক ব্যক্তি ও বস্তুতে প্রতি এবং মুখবাধক ব্যক্তি ও বস্তুতে দ্বেষ সহজেই হইয়া থাকে। এই রাগদ্বেষের বশীভূত হইয়া মূঢ় জীব অন্যের প্রতি শারীরিক, সামাজিক ও নৈতিক প্রীতি ও বিদ্বেষ প্রকাশ করতঃ অঙ্গকে শত্রু-মিত্র জ্ঞান করিয়া থাকে,— পিষয় লইয়া বিবাদ করে । কনক ও কামিনীতে অযথা প্রীতি করিয়া সুখ-দুঃখের অধীন হইয়া পড়ে। ইহার নাম সংসার। এই সংসারে আসক্ত হইয়া জন্ম, মরণ, কৰ্ম্মফল, উচ্চ, নীচ অবস্থা লাভ করিয়া মায়াবদ্ধ, জীবসকল ভ্রমণ করিতেছে। এই সকল জীবের চিদনুরাগ সহজ বলিয়া বোধ হয় না। চিদকুরাগ যে কি, তাহাও উপলব্ধি হয় না । আহা ! যে চিদনুরাগই জীবের স্বধৰ্ম্ম ও নিত্য প্রকৃতি, তাছা ভুলিয়া জড়ামুরাগে বিভোর গুইয়। চিৎকণস্বরূপ জীব স্বীয় অধোগতি ভোগ করিতেছে। সংসারে প্রায় সকলেই এই দুর্দশাকে তুর্দশা বলিয়া মনে করে না । রাগাত্মিক প্রকৃতির কথা ত দূরে থাকুক, মায়াবদ্ধ জীবের রাগামুগ প্রকৃতিও নিতান্ত অপরিচিত। কখনও সাধুকৃপাবলে জীবের হৃদয়ে রাগামুগা প্রকৃতির উদয় হয়। রাগামুগা প্রকৃতি, সুতরাং বিরল ও দুর্লভ। সংসার ঐ প্রকৃতি হইতে বঞ্চিত । কিন্তু ভগবান সৰ্ব্বজ্ঞ ও কৃপাময়। তিনি দেখিলেন,-মায়াবাদ্ধ জীব চিংপ্রবৃত্তি হইতে বঞ্চিত হইল। কি প্রকারে তাহার মঙ্গল হইবে ? কি করিলেই বা মায়ামুগ্ধ জীবের কৃষ্ণস্মৃতি-জ্ঞান পাইবার একটা উপায় হয় ? সাধুসঙ্গ হইলে জীব আপনাকে কৃষ্ণদাস বলিয়া জানিতে পরিবে। সাধুসঙ্গের কোন নির্দিষ্ট বিধি নাই। স্তাহ যে, সকলের প্রতি ঘটনীয় হইবে, ইহারই বা আশা কোথায় ? অতএব সাধারণের জন্ত একটি