পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] নৈমিত্তিকধৰ্ম্ম অসম্পূর্ণ, হেয় ও অস্থায়ী LL সৰ্ব্বোৎকৃষ্টতা বর্ণন করিয়া অনেককে বিতর্কে ও সন্দেহগৰ্ত্তে ফেলিয়াছেন। ঐ সকল শাস্থের অপূৰ্ব্বমীমাংসারূপ গীতাশাস্ত্র দৃষ্টি করিলে জানা যায় যে, কৰ্ম্ম জ্ঞানকে উদ্দেশ না করিলে পাসগু কৰ্ম্ম বলিয়। পরিত্যাজ্য হয় । আবার কৰ্ম্ম ও জ্ঞান উভয় যোগ ভক্তিকে উদ্দেশ না করিলে কৰ্ম্ম ও জ্ঞান উভয়েই পাষণ্ড হটয়া পড়ে। কৰ্ম্মযোগ, জ্ঞানযোগ ও ভক্তিযোগ বস্তুতঃ একই যোগ মাত্র। ইহাই বেদোদিত বৈষ্ণব-সিদ্ধান্ত । মায়ামুগ্ধ জীবের প্রথমেই কৰ্ম্মাশ্রয়। পবে কৰ্ম্মযোগ, পরে জ্ঞানযোগ ও অবশেষে ভক্তিযোগ । মায়ামুগ্ধ জীবকে একটা সোপান না দেখাইলে তিনি কোন ক্রমেই ভক্তিমনিদরে উঠিতে পারেন না । কৰ্ম্মাশ্রম কি ? জীবনধারণপূৰ্ব্বক শরীর ও মনের দ্বারা যাহ করা যায়, তাহাই কৰ্ম্ম । সেই কৰ্ম্ম দুই প্রকার—শুভ ও অশুভ । শুভকৰ্ম্মস্বারা জীবের শুভ ফল হয়। অশুভকৰ্ম্মদ্বাবা জীবের অশুভ ফল হয় । অশুভ কৰ্ম্মকে ‘পাপ” বা ‘বিকয়’ বলে । শুভকৰ্ম্মের আকরণকে ‘অকৰ্ম্ম’ বলে । দুষ্ট প্রকারই মন্দ। শুভকৰ্ম্মই ভাল । তাহ আবার তিন প্রকার—অর্থাৎ নিত্য, নৈমিত্তিক ও কাম । কাম্যকৰ্ম্ম নিতান্ত স্বার্থপর বলিয়া হেয় । নিত্য ও নৈমিত্তিক কৰ্ম্ম শাস্ত্রে উপদিষ্ট । হেয়ত্ব ও উপাদেয়ত বিচারপূর্বক শাস্ত্রে নিত্য, নৈমিত্তিক ও কাম্যকৰ্ম্মকেই “কৰ্ম্ম’ বলেন, অকৰ্ম্ম ও বিকৰ্ম্মকে ‘কৰ্ম্ম’ বলেন না। কাম্যকৰ্ম্মও যখন হেয় বলিয়া ত্যাজ্য হইয়াছে, তখন নিত্য ও নৈমিত্তিক কৰ্ম্মই কৰ্ম্ম । শরীর, মন, সমাজ ও পরলোকের মঙ্গলজনক কৰ্ম্মকে ‘নিত্যকৰ্ম্ম’ বলেন। নিত্যকৰ্ম্ম সকলেরই কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম । যে সকল কৰ্ম্ম কোন নিমিত্তকে আশ্রয় করিয়া যখন যখন নিত্যকর্শ্বের দ্যায় কৰ্ত্তব্য হয়, তখন তাহাকে নৈমিত্তিক কৰ্ম্ম বলে। সন্ধ্য, বদনা, পূৰিত্ৰ डेश्राम्रक्षान्न। শরীর ও সমাজ-সংরক্ষণ, সত্য ব্যবহার ও পাল্যপালন—এই সকল