পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○W。 জৈবধৰ্ম্ম [ তৃতীয় কেবল এষ্টমাত্র বলিতেছি যে, বর্ণ এবং আশ্রম-ল্যবস্থাই বৈধজীবনের মূল । যে দেশে যতদূর বর্ণাশ্রম-ব্যবস্থার অভাব, সে দেশে ততদূরই অধাৰ্ম্মিকতা প্রবল । এখন বিচাৰ্য্য এই যে, কৰ্ম্মবিচারে যে "নিত্য” ও “নৈমিত্তিক’ শব্দদুষ্টটর ব্যবহার হয়, তাহা কিপ্রকার ? শাস্ত্রের নিগৃঢ় তাৎপৰ্য্য বিচার করিয়া দেখিলে কৰ্ম্মসম্বন্ধে ঐ দুইটী শব্দ পারমার্থিকভাবে ব্যবহৃত হয় না, কেবল ব্যবহারিক বা ঔপচারিকভাবে ব্যবহৃত হয় । ‘নিত্যধৰ্ম্ম’ *নিত্য কৰ্ম্ম’ ‘নিত্যতত্ত্ব’ ‘নিত্যসত্য’ প্রভৃতি শব্দগুলি কেবল জীবের বিশুদ্ধ চিন্ময় অবস্থা ব্যতীত আর কিছুতেই ব্যবহৃত হইতে পারে না। তলে যে উপায়-বিচারে কৰ্ম্মকে লক্ষ্য করিয়া ‘নিত্য' শব্দ প্রয়োগ করা হয়, সে কেবল সংসারে নিত্যতত্ত্বের দূর্ব উদ্দেশক বলিয়া ঔপচারিকভাবে কৰ্ম্মকে নিত্য বলা যায় । কৰ্ম্ম কখনই নিত্য নয়। কৰ্ম্ম যখন কৰ্ম্মযোগদ্বার জ্ঞানকে অমুসন্ধান করে এবং জ্ঞান ভক্তিকে উদ্দেশ করে, তখনই কৰ্ম্ম ও জ্ঞান ঔপচারিকভাবে নিত্য বলিয়া অভিহিত হয়। ব্রাহ্মণের সন্ধ্যাবন্দনাকে ‘নিত্যকৰ্ম্ম বলিলে এই মাত্র বুঝায় যে, শারীরিক ভৌতিক ক্রিয়ার মধ্যে ভক্তিকে দূর হষ্টতে উদ্দেশ করিবার যে পন্থ। করা হইয়াছে, তাহা নিত্য সাধক বলিয়া নিত্য, বস্তু তঃ নিত্য নয় । ইহার নাম উপচার। বস্তুতঃ বিচার করিলে জীবেব পক্ষে কৃষ্ণপ্রেমই একমাত্র নিত্যকৰ্ম্ম । ইহার তাত্ত্বিক নাম বিশুদ্ধ চিদনুশীলন । সেই কাৰ্য্য সাধিবার জন্ত যে জড়ীয় কাৰ্য্য অবলম্বন করা যায়, তাহা নিত্যকৰ্ম্মের সহায়, অতএব নিত্য বলিয়া যে অভিধান হইয়াছে, তাহাতে দোষ নাই। তাত্ত্বিকভাবে দেখিলে তাহাকে ‘নিত্য’ ন৷ বলিয়া নৈমিত্তিক’ বলাই ভাল। কৰ্ম্মব্যাপারে যে নিত্য নৈমিত্তিক বিভাগ, তাহা ব্যবহারিক মাত্র, তাত্ত্বিক নয়।