পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৬৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] লীলাপ্রবেশ-বিচার Wン>Q প্রতি যে ভাব যাহার হয়, তদনুরূপই তাহার চরম লাভ। কৃষ্ণকে *প্রভু’ বলিয়া সম্বন্ধ করিলে দাস হওয়া যায় ; ‘সপা’ বলিয়া সম্বন্ধ করিলে সপা এবং ‘পুত্র বলিয়া সম্বন্ধ করিলে “পিতা-মাতা’। ‘স্বকীয়পতি বলিয়৷ সম্বন্ধ করিলে পুর্ববনিত হওয়া যায়। ব্রজে শাস্ত নাই ; দাস্ত সঙ্কুচিত ; উপাসকের স্বাভাবিক কচি অনুসাবে সম্বন্ধ-পত্তন হয়। তুমি স্ত্রীস্বভাব, আবার তোমার রুচি পারকীয়-রসে, সুতরাং তুমি ব্রজবনেশ্বরীর অনুগত। তোমাব সম্বন্ধ এই যে, “আমি ঐ বাধিকাব পরিচারিকার পরিচারিক, শ্রীরাধা আমার জীবিতেশ্বৰী, কৃষ্ণ র্তাহপি জীবিতেশ্বর ; সুতরাং রাধাবল্লভই আমার প্রাণেশ্বর” । বিজয় । শুনিয়াছি, আমাদের আচার্য্য শ্রীজীব গোস্বামীচরণ স্বকীয়ভাবের সম্বন্ধকে ভাল মনে করিতেন, তাহা কি সত্য ? গোস্বামী । শ্ৰীমহাপ্রভূর কোন অনুচরই শুদ্ধ-পবকীয় ভাব শুন্য ন’ন। শ্ৰীস্বরূপ গোস্বামী ব্যতীত এ রসের আর গুরু কে ? তিনি শুদ্ধ-পরকীয়ভাব শিক্ষা দিয়াছেন—ঐ জীব গোস্বামী এবং ঐকপসনাতনেরও সেই মত। ঐ জীবের নিজের কোন প্রকার স্বকীয় ভজন -নাই, তবে তিনি দেখিয়াছিলেন যে, ব্রজেও কতকগুলি উপাসকের স্বকীয়ভাব-গন্ধ ছিল । সমর্থ-রতি যেস্থলে সমঞ্জস-রতি গন্ধ প্রাপ্ত হয়, সেস্থলে ব্রজের স্বকীয়ভাব। সেই ভাব হইতে র্যাহাদের কৃষ্ণসম্বন্ধ-স্থাপনকালে কিঞ্চিৎ স্বকীয়ত্ব বুদ্ধি ঘটে, তাহারাই স্বকীয় উপাসক। শ্ৰীজীব গোস্বামীর দুই প্রকারই শিষ্য ছিল, অর্থাৎ শুদ্ধপারকীয়-উপাসক এবং -স্বকীয় মিশ্রিতভাবের উপাসক। এই কারণেই তাহার ভিন্ন ভিন্ন রুচিপ্রাপ্ত শিষ্যদিগের প্রতি পৃথক পৃথক্ উপদেশ । “স্বেচ্ছয়া লিখিতং কিঞ্চিৎ” ইত্যাদি লোচনরোচনী-গত তদীয় শ্লোকে সে কথা স্পষ্টরূপে স্বীকৃত भइहेथ्रोप्छ् ।