পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] বৈধী-ভক্তি—নিত্যধৰ্ম্ম, নৈমিত্তিক নয় ৬৯ ইচ্ছা হয় বল। আমার গুরুদেব ঐ অপর কুটীরে ভজন করেন। তিনি সৰ্ব্বশাস্ত্রের তাৎপর্য্য আমাকে বলিয়াছেন, তাহাই তোমাকে বলিলাম। তুমি যদি তাতার চরণে কিছু শিক্ষা করিতে চাও ভক্তিভাবে তাঙ্গকে জিজ্ঞাসা কর । চল, আমি তোমাকে তাহার নিকট পরিচিত করিয়া দিষ্ট । এই কথা বলিয়া লাহিড়ী মহাশয় দেবী বিদ্যারত্নকে ত্রবৈষ্ণবদাসের কুটীরে লইয়া তাহাকে পরিচিত করিয়া দিলেন । লাহিড়ী মহাশয় দেবীকে তথায় রাথিয় নিজ কুটারে আসিয়া নাম করিতে লাগিলেন। ঐবৈ । বাবা, তোমার পড়া শুনা কি হইয়াছে ? দে। হায়ুশাস্ত্রের ‘মুক্তিপাদ’ ও ‘সিদ্ধান্তকুসুমাঞ্জলী’ পৰ্য্যন্ত পড়িয়াছি। স্মৃতিশাস্ত্রের সমস্ত গ্রন্থই পড়িয়াছি। শ্ৰীবৈ । তুমি তবে শাস্ত্রে অনেক পরিশ্রম করিয়াছ ? শাস্ত্রে যে পরিশ্রম করিয়াছ তাহার ফলের পরিচয় দেও ? দে। ‘অত্যস্ততঃখনিবৃত্তিরেব মুক্তি:’—এষ্ট মুক্তির জন্ত সৰ্ব্বদা প্রয়াস করা উচিত। আমি স্বধৰ্ম্মনিষ্ঠার সহিত সেই মুক্তিই অন্বেষণ করিতেছি। ঐবৈ । ই এককালে আমিও ঐ সকল গ্রন্থ পড়িয়া তোমার দ্যায় মুমুক্ষু ছিলাম। দে। মুমুক্ষতা কি পরিত্যাগ করিয়াছেন ? ঐবৈ । বাবা, বল দেখি মুক্তির আকার কি ? দে । ন্যায়শাস্ত্রের মতে জীব, ও ব্রহ্মে নিত্যভেদ আছে। অতএব স্তায়ের মতে কি প্রকারে অত্যন্ত দুঃখ নিবৃত্তি হয়—তাহা স্পষ্ট নাই। বেদান্তমতে অভেদ ব্ৰহ্মানুসন্ধানকে ‘মুক্তি’ বলে। তাহাই একপ্রকার স্পষ্ট বুঝা যায়। ঐবৈ । বাবা, আমি ১৫ বৎসর শঙ্কর বেদান্ত-গ্রন্থ পাঠ করিয়া কয়েক বৎসর সন্ন্যাস করিয়াছিলাম। মুক্তির জন্ত অনেক যত্ন করিয়াছি।