পাতা:শ্রীনরোত্তম চরিত - শিশিরকুমার ঘোষ.pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গাম্ভীলায় গমন । প্রাতে বুধুৱীত পরিত্যাগ করিয়া গাভীলায় গঙ্গানারায়ণের বাটীভেদ সকলে আসিলেন। গঙ্গানারায়ণের পরিবারের মধ্যে তাহার স্ত্রী নারারী ও বিধবা কন্যান্য বিষ্ণুপ্রিয়া। ঠাকুর মহাশয় আসিতেছেন, পূর্বে তাহারা এ সংবাদ পাইয়াছেন। ঠাকুর মহাশয় ভক্তগণ সঙ্গে করিয়া আসিলে তঁহাদের আনন্দের সীমা রহিল না। নারায়ণী ও বিষ্ণুপ্রিয়া ঠাকুর মহাশয়ের চরণে প্ৰণাম করিলেন । সেই দিন হইতে গঙ্গানারাঘুণের বাড়ী মহোৎসব আরম্ভ হইল। দেশ দেশান্তর হইতে লোক ジ。 量 আসিতে লাগিল। গ্রামে গঙ্গানারায়ণের বাড়ী দিবানিশি হৰিধ্বনি হইতে লাগিল। গাম্ভীলা, ভদ্রগ্রাম, অনেক ব্ৰাহ্মণের বাস। তঁহারা ইহাতে বড় বিরক্ত, ঠাকুর মহাশয়ের উপর তাহাদের বড় রাগ, গঙ্গানারক্ষণের উপর বড় ঘূণা। তাঁহাদের বিশ্বাস, গঙ্গানারায়ণ দেশ মজাইল । গঙ্গানারায়ণকে উপেক্ষা করিতে পারেন না, যেহেতু তিনি পরম পণ্ডিত, ভাগবতে ই অদ্বিতীয়, আর কুলীন । ইহাই তাঁহাদের আরো রাগের কারণ। সি ঠাকুর মহাশয়কে লইয়া গঙ্গানারায়ণ দিবানিশি মহোৎসীবানন্দে

  • আছেন, ইহা আর গ্রামস্থ লোকের সহ হইতেছে না। তঁাহারা নানা- “

বিধ উৎপাত করিতে আরম্ভ করিলেন। বাড়ীর ভিতরে ইষ্টকাদি নিক্ষেপ করিতে লাগিলেন, ও সংকীৰ্ত্তনের অনুকরণ করিয়া গঙ্গানারাস্বাণের জবাড়ীর চতুষ্পাশ্বের্ণ নানারূপ গোল করিতে লাগিলেন। এমন সময় একটী দুর্ঘটনা উপস্থিত হইল। ঠাকুর মহাশয়ের জর হইল । সকলে ইহাতে কিছু চিন্তিত হইলেন। আিজ জ্বর। ক্রমেই বৃদ্ধি পাইতে লাগিল। চারি দিবস পরে ঠাকুর মহাশয় স্বয়ং তাঁহাকে গঙ্গাতীরে লইয়া ঘাইতে আজ্ঞা করিলেন। সকলে তাহাকে খট্রীয় শয়ন করাইয়া, কীৰ্ত্তন করিতে করিতে, গঙ্গানারায়ণের যে ঘাট সেখানে লইয়া গেলেন। গাষ্ঠীলার ঘাটে ঠাকুর মহাশয় শয়ন করিয়া আছেন, কাহার সহিত W digitized at BRCin dia, Com