পাতা:শ্রীনরোত্তম চরিত - শিশিরকুমার ঘোষ.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

 নন্দ্রেতমের "আবেশ । লোক লইয়া ও-পারে হরিবােলা বলিয়া নৃত্য৷ করিতেছেন। যখন তাহার এই দর্শন হইত, তখন তিনি পরমানন্দ্ৰে ভাসিতেন। যখন আবেশ ভাঙ্গিয়া যাইত, তখন কাতর হইয়া রোদন করিতেন ও গৌরাঙ্গকে আহবান করিতেন। M নৃপতি কুমার এক দিবস পদ্মা নদীতে স্নান করিতে গিয়াছিলেন। যাইয়া আর বাড়ী আসিলেন না। ইহাতে তাহার তল্লাস পড়িল । মাতা পিতা অনুসন্ধানে শুনিলেন, নক্ল পদ্মায় স্নান করিতে গিয়াছিলেন। তখন সশস্ক, হইয়া তাহারা বহু লোকজন সামভিৰ্যাহারে পদ্মার ঘাটে উপস্থিত হইয়া দেখেন যে একটী বালক সেখানে নৃত্য করিতেছেন। সে বালকাটাকে চিনিতে না পারিয়া সকলে ইতস্ততঃ রাজকুমারের তল্লাস कब्रिड कांशिएलन। তখন নরোত্তমের মাতা, পুত্ৰ পদ্মায় ডুবিয়া মারা পড়িয়াছে এই আশঙ্কা করিয়া, "নক্ল, নরু” বলিয়া চীৎকার করিয়া রোদন করিতে क्षशिलन। “নরু, নরু” বলিয়া চীৎকার করিয়া কান্দিতে লাগিলেন । মৃত্যকারী বালকট নৃত্য সম্বরণ করিয়া স্থির হইয়া দাড়াইলেন। পূৰ্ব্বে যেরূপ বাহাজ্ঞান শূন্য ছিল, “নরু, নঙ্ক” ডাক শুনিয়া, সেই বালক কথঞ্চিত চেতন পাইলেন। তখন দৌড়িয়া মাতার কাছে আসিয়া বলিলেন, “মা, তুমি কান্দিতেছ। কেন ? এই তো আমি আছি। ” তখন ঘাটে বহু লোক সমবেত হইয়াছেন। সকলেই রাজকুমারের নিমিত্ত হাহাকার করিতেছেন। বালকের বাক্য শুনিয়া সকলে তাহার মুখপানে চাহিয়া দেখেন যে, তিনি রাজকুমারই বটে ; তবে বর্ণ শুষ্ঠাম ছিল, তখন উজ্জল গৌরবর্ণ হইয়াছে, আর মনের মধ্যে ভাবের তরঙ্গ উখিত হওয়াতে মুখের অবয়বের পরিবর্তন হইয়া গিয়াছে। তাহাতেই ভীহাকে প্রথম কেহ চিনিতে পারেন নাই। রাণী নারায়ণী পুত্ৰকে চিনিতে digitized at BRCIndia.com