পাতা:শ্রীনরোত্তম চরিত - শিশিরকুমার ঘোষ.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিষ্যের নিকট গুরুর পাপ গ্ৰহণ।” ৩৩ ৷৷

  • শ্রাবণের পূর্ণিমাতে রাজকুমারকে षड्स लिट्बन এই কথা সাব্যস্ত করিলেন। সেই দিন প্রত্যুষে শ্ৰীজীব গোস্বামী প্রভৃতি বৃন্দাবনের মহাস্তগণ লোকক্ষীথের কুঞ্জে উপস্থিত হইলেন । যাহার। উপস্থিত . ܬܐ হইলেন, তঁাহাদের নাম করিলে মন নিৰ্ম্মল श्श्रं । সেখানে আচাৰ্য্য । প্রভুও উপস্থিত হইলেন। লোকনাথ রাজকুমারকে লইয়া যমুনায় স্নান করাইলেন ও কুঞ্জে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিয়া ভঁাহাকে আপনার পদ ধৌত করিয়া দিতে কহিলেন। পদ প্রক্ষালন করা হইলে লোকনাথ আসনে বসিলেন। পরে তিনি শ্ৰীভগবানকে স্তব করিতে লাগিলেন, আর রাজকুমারের মঙ্গল প্রার্থনা করিয়া শত শত বার ভূমিতে লুষ্ঠিত হইয়া প্ৰণাম করতে লাগিলেন। গুরু হওয়া সোজা কথা নয়।

স্তব সমাপ্ত হইলে, রাজকুমারকে বামে বসিতে বলিলেন। রাজ- । কুমার বসিলে, লোকনাথ বলিলেন, “বাপু ! এখন তুমি আমাকে আত্ম ৩ সমৰ্পণ কর, আর তোমার শরীরে যত পাপ আছে আমাকে দাও।” আবার বলি গুরু হওয়া বড় কঠিন বিষয়। শিষ্যের পাপ লাইতে হয়। নরোত্তম গোস্বামীর চরণ দুটি ধরিয়া একান্ত মনে আপনাকে সমর্পণ করিলেন। তখন গোস্বামী বলিলেন যে, তিনি নিজে श्नांनी sets * ব্ৰাজকুমার বিলাস-মঞ্জুরী । শেষে তিনি ক্ৰমে ক্ৰমে ভজন সাধন । প্ৰণালী একে একে রাজকুমারকে বুঝাইয়া দিলেন । তাহার পর লোকনাথ বলিলেন, “তুমি এখন আগন্তুক সাধু বৈষ্ণবগণকে প্ৰণাম কর।” নরোত্তমের সর্বাঙ্গ চন্দনে লেপিত, গলায় ফুলের মালা, প্ৰেমানন্দ্ৰে বদন প্ৰফুল্ল, এবং উহা দিয়া আনন্দ ধারা বিন্দু বিন্দু পড়িতেছে। রাজ- , কুমার বাহিরে আসিয়া জীব গোস্বামী প্রভৃতি মহান্তগণকে সাষ্টাব্দে । প্ৰণিপাত করিলেন। সকলে ভঁাহার রূপ ও তেজ দেখিয়া ধন্য ধন্য W digitized at BRCIndia.com