পাতা:শ্রীনরোত্তম চরিত - শিশিরকুমার ঘোষ.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

卧子 আদর্শ গুরু ও আদর্শ শিষ্য । , শীতকালে কাষ্ঠের অগ্নি করতেন, গৃহদ্বার পরিষ্কার করিতেন, কুসুম চয়ন ... • { করিতেন, জল আনিতেন, বহির্বাস কৌপীন বহিতেন, আর গোসাঞি দুই একু দণ্ড নিদ্রা গেলে তাহার পদসেবা করিতেন। উপবাসে ও দিবানিশি কঠোর তপস্তায় গোসাঞির ক্লিষ্ট দেহ। নরোত্তমের ন্যায়। একজন প্রিয় স্নিগ্ধ সঙ্গী পাইয়াৰ্তাহার হৃদয়ে নব স্নেহের উদ্রেক হইয়াছিল। এই কঠোর তপস্যার মধ্যে নরোত্তম তাহার একমাত্র সংসারসুখ ছিলেন। . নরোত্তম চেতন পাইলে গোসাঞি। বলিতেছেন, “নরোত্তম! প্রস্তু আমাকে এই আজ্ঞা করিয়া বৃন্দাবন প্রেরণ করেন যে, “লোকনাথ ! তুমি ও আমি সুখ ভোগের নিমিত্ত জন্মগ্রহণ করি নাই।’ সে কথা আমার হৃদয়ে জাজ্বল্যমান রহিয়াছে ৷ তুমি ত প্রভুর বরপুত্র, তুমিও মুখ ভোগ করিতে। আইস নাই। তবে নরোত্তম আমাকে ভুলিও না।” লোকনাথ প্রভুর সহিত ঠাকুর মহাশয়ের এই শেষ দেখা । লোকনাথ’গোস্বামীর যে কাৰ্য্য তাহা হইয়া গিয়াছে। তাহার চির জীবনের } অর্জিত সমস্ত শক্তি নরোত্তমকে অর্পণ করিয়া তিনি নিশ্চিন্ত হইলেন ৷ । শ্ৰীগোবিন্দ দেবের মন্দিরে সকলে একত্র হইলেন। অনেক মহান্তও । আসিলেন। মোমজামা মণ্ডিত সিন্ধুক গাড়ীতে উঠান হইল ॥২ গোবিন্দ لما * দেবের প্রাঙ্গণে সকলে দণ্ডৱৎ করিয়া পড়িলেন। শ্ৰীজীব, গোবিন্দ দেবের মুখপানে চাহিয়া তাহার, চরণে সমস্ত গ্রন্থ উৎসর্গ করিয়া দিলেন। * পূজারী প্রসাদী মালা আনিয়া দিলেন। শ্ৰীজীব সেই মালা আচাৰ্য্য প্ৰভু, ঠাকুর মহাশয় ও শ্যামানন্দকে পরাইলেন। শ্ৰীজীব গোস্বামী, শ্যামীনন্দকে ঠাকুর মহাশয়ের হাতে সঁপিয়া দিলেন। তখন “কৃষ্ণ কৃষ্ণ” ব্লবের মধ্যে গাড়ী ছাড়িয়া দেওয়া হইল। তিনজনে রোদন করিতে করিতে চলিলেন । digitized at BRCin dia. Corn