পাতা:শ্রীনরোত্তম চরিত - শিশিরকুমার ঘোষ.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষ্ণদাস কবিরাজ ।। ৭ ts অন্তধান করেন নাই। যখন গ্ৰন্থ প্ৰাপ্তি সংবাদ বৃন্দাবনে ষায়, তখন তিনি মানব দেহে ছিলেন ও তিনি এই শুভ সংবাদ শুনিয়াছিলেন। ৰূর্ণানন্দ গ্ৰন্থ প্রেমবিলাসের পরে লেখা, সুতরাং তঁাহার कथाई थांश् । ইহা বড় সুখের বিষয় যে, চরিতামৃত গৌড়ে পৌছিয়াছে। এ কথা কবিরাজ গোস্বামী শুনিয়াছিলেন । এ দিকে খেতরিতে ঠাকুর মহাশয়ের নিকট আচাৰ্য্য প্রভুর পত্ৰ লইয়া দুই লোক উপস্থিত হইল। ঠাকুর মহাশয় আচাৰ্য্য প্রভুর লোক শুনিয়া অতি ব্যগ্ৰ হইয়া তাহাদিগকে ডাকাইলেন। আচাৰ্য্য প্রভুর পত্র পাঠ করিয়া আনন্দ সাগরে মগ্ন इंटर्लन । তখনি আদেশ করিলেন যে, রাজ্যের মধ্যে উৎসব করা হউক । এই কথা শুনিয়া তাহার পিতা পঞ্চ দিবস পৰ্য্যন্ত র্তাহার রাজ্যে নানাবিধ উৎসব করিলেন। প্রভুর মধুর কাণ্ড দেখুন। যখন গ্ৰন্থ চুরি যায়, তখন আচাৰ্য্য প্ৰভু প্ৰভৃতি 'সকলে মনে মনে প্রভুর উপর একটু রাগ করিয়াছিলেন। অবশ্য মনে মনে বলিতেও সাহস হয় নাই, কিন্তু তবু সম্ভবতঃ মনে এ ভাব উদয় হইয়াছিল যে, “প্ৰভু তুমি এ গ্রন্থগুলি চুরি করাইয়া ভাল কাজ করা নাই।” কিন্তু পরে ও আচাৰ্য প্ৰভু দেখিলেন যে, শ্ৰীভগবান তাহাঙ্ক অপেক্ষা অনেক বেশী বুঝেন । আচাৰ্য্য প্ৰভু গ্ৰন্থ লইয়া আসিতেছিলেন, তাহার সম্বল কান্থা ও কম্বল। এখন আচাৰ্য্য প্ৰভু বিষ্ণুপুরে রাজার রাজা হইলেন। রাজার সাহায্যে, তাহার যে, কাৰ্য্য, অর্থাৎ ভক্তি-ধৰ্ম্ম ও গ্রন্থ প্রচার, তাহ প্রচুর পরিমাণে হইল । দেশ টলমল করিয়া উঠিল। অতএব, যে গ্ৰন্থ চুরি তিনি একটা বড় দুৰ্ভাগ্য বলিয়া বুঝিয়াছিলেন, তাহা বিশুদ্ধ সৌভাগ্যের কারণ হইল। digitized at BRCIndia.com