পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৃথিৰান্তিায় দেৰী মম অবস্থিতি । করিলেন প্রার্থনা তখন যথারীতি ॥ স্নেহের সহিত কথা কহিল তখন— । যদ্যপি করহ তুমি মুক্তির ইচ্ছন। তবে তার দ্বাররক্ষাকারিণী আমারে । অনুগ্রহ কর, এই কহিলু বিস্তারে। যৰে আমি পরিত্যাগ করিব তোমারে । তবে ত প্রবেশ শীঘ্র হবে মুক্তিৰারে। ঐবিষ্ণুর দাগী আমি—তদধীন আর । যশোদাগৰ্ভজা-হেতু ভগিনী তাহার। শক্তিরূপা ভক্তিদাত্রী আমারে তজন । করহ কৃপায়, ভক্তি ৰাহু বা এখন ॥ এতেক শুনিয়া তার উক্ত বাক্যগণ । আর উপানীত দ্রব্য না করি গ্রহণ ॥ বিষ্ণুশক্তি তিঁছ—এই-বুদ্ধিতে তখন । নমস্কার করিলাম করি আদরণ ॥ প্রাক্তাবরণ নেই বর্ণ মনোহর । দেখিবারে ইতস্তত ভ্ৰমিলু বিস্তর ॥ হেতুরূপা-প্রকৃতিময় যে জীবগণ । তtঃারা ভজন্মে—অতি মনোরম হন । স্থলস্বল্প কাৰ্য্য আর কারণ হইতে । সৰ্ব্বমাহাত্মাধিক্যে ত স্বয়ং বিলসিতে ॥ যদ্যপি নাহিক তার স্বয়ংপ্রকাশিত । আৰরিকারূপে তথা হয়েন শোভিতা ॥ বহুরূপ দুৰ্ব্বিভাব্য অচিস্ত্যপ্রচার । মহামোহকারিণী সে বিভূতি যাহার । কাৰ্য্য আর কারণের সমূহ যে হয়। তাহাদেরো লেব্যমান হন জগন্ময় ॥ পরম সুন্দর বর্ণ দেখিয়া তাহার। অতিক্রমে ইচ্ছা নাহি ছিল লে আমার ॥ তথাপি ঈশ্বরেচ্ছায় দুস্তরতিঘন । করিলাম প্রকৃতিজ-তম উল্লঙ্ঘন ॥ ততঃপরে দেখিলাম তেজঃপুঞ্জঘন । যাহার দর্শনে চক্ষু হয় নিমীলন। পরম ভক্তিতে যত্ব করিয়া তখন । করিলাম অগ্রে আমি দৃষ্টিপ্রসারণ ॥ তথায় পরমেশ্বর করিলু দর্শন। কোটিসূৰ্য্যসম দীপ্ত, রূপ বিলক্ষণ । মনোনয়নের হর্ষবিশেষ বাঢ়ান । বিচিত্ৰ-মাধুর্য্য-বিভূষণ-ব্যাপ্তমান ॥ স্বায়িংশত ধেই মহাপুরুষলক্ষণ । তাহাতে জন্বিত বিভু ব্যাপক সে হন । শ্ৰীবৃহস্তাগবতামৃত ఫెమ মায়া-আবরণভাবে সদা দীপ্তমান । পরব্রহ্মময় মহাভূত ভগবান। পরব্রহ্মহেতু প্রকৃতিজ-গুণাতীত ॥ ভক্তবাৎসল্যাদি অতি সদগুণে অম্বিত । প্রাকৃত আকার তার রহিত সতত । লোকমনোরমাকৃতি হয় অভিমত । প্রকৃত্যধিষ্ঠানরূপে বিলাসী অদ্ভুত। প্রাকৃত-সম্বন্ধস্পৰ্শ-বিহীন অচ্যুত । এ রূপ দেখিয়া হৈলু বিবশ পরেতে ; মহাসংপ্রম-সংক্রাস-প্রমোদভরে তে কি করিব—সেইকালে কৰ্ত্তব্যতা যাহা । জানিতে নারিনু কোনপ্রকারেতে তাহা । যদ্যপি পরমেশ্বর স্বয়ংপ্রকাশিত । সকল ইঞ্জিয়ধৃত্তি হইতে অতীত। তথাপি র্তাহার করুণার প্রভাবেতে । দেখা দেন সৌন্দর্য্যাদি প্রত্যক্ষ সাক্ষাতে ॥ নিশ্চয় করিতে ইহা নারিনু তখন । চক্ষুদ্বারা কিম্বা চিত্তে করিয়ে দশন ॥ কিম্ব বাহান্তর যত ইন্দ্ৰিয়সকল । তার বৃত্তি অতিক্রম করিয়া বিরল ॥ কোন অনিৰ্ব্বচনীয় চেতনাবিশেষে । দশন করিয়ে—এহো ভাবি মনে শেষে ॥ অতি-তেজোময়-হেতু বিশেষগ্রহণ। নাহি হয়—কিম্বা মুক্তিপদস্বভাবন ? ৷ নিরাকারমত র্তারে ক্ষণেক দেখিয়ে । নীলাচলনাথ-কৃপা স্মরণ করিয়ে ॥ ক্ষণপরে মহাতেজঃপুঞ্জ পূৰ্ব্বমত। সাকার দেখিয়া হৰ্ষ হৈল অবিরত ॥ সেই-স্থান-স্বভাবেতে আমিহ কথন । সেই তেজঃপুঞ্জে লীন হই সেইক্ষণ ॥ কতু নিজ পাদপদ্মনখের কিরণ। স্পর্শহেতু প্ৰভু করি কৃপা বিতরণ ॥ পূৰ্ব্বমত শরীরসহিতে আমাপ্রতি । করেন অবলোকন কৃপায় সম্প্রতি কদাপি সংসিদ্ধমুক্তি যত জীবগণ। তদংশকারণে ভিন্ন-অভিন্ন-কখন ॥ মুক্তি-হেতু ব্যক্তরূপে অপূখদর্শন। স্বল্পমূৰ্ত্তি হেতু যেন স্বর্যের কিরণ। ভক্তগণতুল্য র্তার চতুর্দিগে বৃত। কদাপি দেখিয়া হয় মনঃপ্রতিকুত ॥ সেবাদিক নাছিক সেই মুক্তিপদস্থানে । স্বৰ্ষতেজোমত মাত্র আছে বিদ্যমানে ॥