পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/১০৪

ఏ = 3 ভূষণের ভূষণ সে অজের কিরণে । আচ্ছাদিত করিলেন সব শৈবগণে ॥ নিজেশ্বর বৈকুণ্ঠনাথের মহাকীৰ্ত্তি-। গানানন্দরসে মগ্ন,—নাহি পরিচ্ছিত্তি ॥ অনিৰ্ব্বাচ্যতম রূপ-গুণাদিক সব । চিত্তহারি-সৰ্ব্ববস্ত্ৰালঙ্কারবিভব ॥ পূৰ্ব্বে তপোলোকে ধারে করিলু দর্শন । সনকাদি-চারি-ঋষি-সহিত মিলল ॥ তাহাদের দর্শন-স্বভাবেতে উখিত । প্রকৃষ্ট হর্ষেতে মনে হইল হৰ্ষিত ॥ অস্তর্বাহে কিছু অন্ত নিজ প্রিয় আর । নাহি হইলাম তাহে শক্ত জানিবার ॥ ক্ষণকালপরে তবে পাইয়া চেতন । মনেতেও উপহাদের দাসত্বমাচন ৷ করিতে নারদু ভয়পজ্জার কারণ। স্বদুর্ঘট সেই পদ হয় সৰ্ব্বক্ষণ । উচ্চপদ-প্রার্থল নীচের যোগ্য নয় । তাহে অপরাধে ভয়-লজ্জা সম্ভবয় ॥ আসি দাস্ত-প্রার্থনে অশক্ত দীনমন । নিশ্চয় এ লালসা বাধয়ে অমৃক্ষণ— ॥ "শিবের কৃপায় এই চতুভুজগণ । একবার করিবে কি মম সংভাষণ ? ॥ কোথায় থাকেন, কেবা হয়েল ইহারা । কৃপাপাঙ্গে রক্ষা মোরে করবে কি পারা ? ॥ "ইহারা পরম মহত্তম কোনজন । হইৰেল নিশ্চয়' সে জানিলু তখন ॥ “যাহাদ্বগে আলিঙ্গন করি আতিশয় । হইলেন রুদ্রদেব প্রেমমূছৰ্ণময় ॥ ইত্যাদি আমার মনোবৃত্ত যেই ছিল। শিবাজুবৰ্ত্তিনী উমাদেব সে জানিল । সঙ্কেত গণেশ-প্রতি দেবী করিলেন। তবে ত আমারে গণপতি কহিলেন— । মহাপ্ৰভু শ্ৰীকৃষ্ণ শ্ৰীবৈকুণ্ঠনাথের । পার্ষদ ইহঁরা ছল, নিকটেতে হের । র্তাহার সমান রূপ হইলা প্রাপণে । নিশ্চিত বৈকুণ্ঠ হৈতে কৈলা আগমনে ॥ দেখহ করেন এই পার্থদের গণ । চতুমুৰব্ৰক্ষার ব্ৰহ্মাণ্ডেতে গমন । তাহাতে দ্বিগুণ অষ্টমুখ ব্ৰহ্মা জান । শতকোটিযোজন ব্রহ্মাওপরিমাণ ॥ তাছে ঐ পার্ষদগণ যান বেগবান । তাহার দ্বিগুণ ষোলমুখ ব্ৰহ্মা মান ॥ জীমভাগবত ভাহে ঐ পার্ষদগণ করেন গমন । এইমতে কো. কোটি ব্ৰহ্মা অগণন ॥ ৰেণটিকোটি মুখপদ্ম অতি গুরুতর । ভাদৃশ ব্রহ্মাও তাহাদিগের বিস্তর। সেই সেই ব্ৰহ্মাণ্ডাম্বরূপ সবিভব । কনোলেত্র হরণ করেন রূপে সব ॥ সকলে গমন করিতেছেন লীলায় । গণেশ অনেক দেখাইলেন আমায় এ এসব পার্ষদগণ আপন ইচ্ছায় । ক্ৰমেন সৰ্ব্বত্র,—পরতন্ত্রতা না ভায় ॥ স্বত্যুকালেতেও জিহবাগ্রেতে বে জনার শ্ৰীকৃষ্ণের নামাভাল হয় ত উচ্চার ॥ কিম্বা কোনপ্রকারেতে যদি একবার । শ্ৰবণে প্রবিষ্ট হয় কৃষ্ণনাম যার ॥ সৰ্ব্ব-বিস্ত্ৰ-ভয় হৈতে সেই ভক্তগণে । করেন পার্ষদলব সৰ্ব্বথা রক্ষণে ॥ উজ্জলা বিশুদ্ধা ভক্তি করেন বিস্তার । যেহেতুক ভক্তি এক প্রিয়া এলবার ॥ সনকাদি এই চারি নৈষ্ঠিক-উত্তম । বৈকুণ্ঠনাথের ভক্ত-অবতারাগম । অতএব শ্রীপতির পর্যদের দ্যায় । লোকের হিতার্থে মাত্র ভ্রমেন সদায় ॥ অপোলোকে উদ্ধরেতা যোগিগণ যত । ইষম্বারায়ণ বিনা অনাথের মত ॥ প্ৰত্যহাদের মঙ্গলার্থে কৃষ্ণসঙ্কীৰ্ত্তন । কfর তপোলোকে বাস করেন কখন a সম্প্রতিক বৈকুণ্ঠেতে করিয়া গমন । তেখ সৰ্ব্বাকর্ষক-সদগণ নারায়ণ ॥ ভগবানে দেখি যেই আনন্দ অপার । মোঙ্কবিষয়কানন্দে করয়ে ধিক্কার ॥ স্বতাহ পাখ্যা করিয়া আত্মার সংযোজন । হরিভক্তি-মহারস পিয়ে শুমুক্ষণ । তদীয় কীৰ্ত্তন-গানামৃতরল-পানে । ভক্তগপলছ আইলেন এইস্থানে । বৈকুণ্ঠলোকের সে কহিব কি মহিমা । শক্ত নাহি হই যার কহিবারে সীমা ॥ নিত্য পরিচ্ছেদহীন মহামুখ যেই । তার অস্ত্য-পরিপাক-বিশিষ্ট ত লেই ॥ সেপ্রকার পরিচ্ছদ আর পরিবার । গণনারহিত নিত্য বৈভব যাহার ॥ সাক্ষাৎ হীরমানাথপদপঙ্কজের । ক্রীড়াভরে সদা বিভূষিত অজক্সের ।