পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Nobr নামসঙ্কীৰ্ত্তনেতে রসিক যত জন । কহে—সাধনের ফল ‘নামসঙ্কীৰ্ত্তন' ॥ কৃষ্ণপ্রেমতরের যে উৎকৃষ্ট লক্ষণ । কোন কোন রসজ্ঞ কইেন এ কথন । যেহেতুক প্রেমভরে ফুটাৰ্ত্তিকারণ। স্কুরয়ে আপন ইষ্ট নামসঙ্কীৰ্ত্তন ॥ মেঘ বিনা বর্ষাকালে চাতকের গণ । আৰ্ত্তস্বরে ‘প্রিয় প্রিয়' করে আক্রোশন ॥ চক্রবাকীগণ যেন বিরহে পতির। রাত্রিকালে আৰ্ত্তনাদ করয়ে অস্থির । কুররীবর্গও পতিবিরহিত হ'য়ে । রাত্রে আক্রোশন আৰ্ত্তনাদেতে করয়ে ॥ সেইমত আৰ্ত্তির গৌরবের কারণ । নামসঙ্কীৰ্ত্তন হয়, জানিই লক্ষণ ॥ ইথে পরম আৰ্ত্তিতে সংযুক্ত হইয়া ! বিচিত্ৰ মধুর গাথা প্রবন্ধ করিয়া ॥ করিবেক শ্রীকৃষ্ণের নামসঙ্কীৰ্ত্তল । এই ত তাৎপৰ্য্য ইথে বুঝ করি মন ৷ যথা ( বৃঃ ভাঃ ২।৩৩৫ টাকা )— সিদ্ধস্ত লক্ষণং যং স্যাৎ সাধনং সাধকস্ত তদিতি জায়াৎ ॥ বিচিত্রলীলারসের সাগর প্রভুর । বিচিত্র প্রসাদ যদি হয় ত প্রচুর । সঙ্কীৰ্ত্তন বিচিত্রমাধুরী সে ফুরয়ে । স্বীয় যত্নে কিছু নাহি সাধু সিদ্ধ হয়ে । যেই সদা করে কৃষ্ণনাযসঙ্কীৰ্ত্তন। ভৌগোমুখ-পাপ-ক্ষয় হয় ততক্ষণ ॥ ইচ্ছাধীন-হেতু পুণ্য থাকয়ে তাহার। যেকারণ শুভফল তাহাতে প্রচার ॥ সঙ্কীৰ্ত্তন-উপাসকগণের ইচ্ছায় । কৰ্ম্ম থাক। আর নাশ—জানিত সদায় । যথোক্তং হরিভক্তিস্বপেদিয়ে ( ৫।৬৩ )— কৰ্ম্মচক্রস্তু যৎ প্রোক্তমবিলজ্যং সুরাস্তরৈ: । মস্তুক্তিপ্রবণৈমর্ত্যৈৰ্ব্বিদ্ধি লঙ্ঘিতমেব তং । উপাসক-ৰাতিরিক্ত জন কদাচিত । নামসঙ্কীৰ্ত্তন যদি করে সবিহিত ৷ সব নাশ হয়, প্রেরিস্কমাত্র থাকয়ে । তা অবশু ভোগিবfর—ভোগে যায় ক্ষয়ে ॥ "উপাসক-ভরত আদির ভোগপরে । কৰ্ম্মক্ষয় দেখি ?" তার শুনহ উত্তরে— ॥ শ্ৰীমদ্ভাগবত পরম-গম্ভীর-ভাব যেই মহাশয় । হরিনাম নিরস্তর সেবনে নিশ্চয় । তাহারাও স্বগোপ্য শ্ৰীভক্তি মহানিধি । প্রকাশের ভয়ে ভঙ্গি করি বহুবিধি ॥ হরিণবালক-পোষণাদি-ব্যবহারে । দুঃসঙ্গাদি-দোষদুঃখ দেখান সবারে ॥ পরম রহস্যরূপ কৃষ্ণভক্তি হয় । তার আচ্ছাদন হেতু তাদৃশ করয় ॥ 'সৰ্ব্বলোকনিস্তারার্থ ভক্তিপ্রকাশন । উচিৎ "যদ্যপি কহ, করহ শ্রবণ— ॥ কেবল শ্রীহরিনাম করিলে কীৰ্ত্তন। শ্রীহরিচরণে ভক্ত হৈয়া সবজন ॥ বিনাশিত-দু:খ-দোষ যদ্যপিহ হয় । তথাপিহ কৃপাকুল কাহারো হৃদয় ॥ দুঃসঙ্গাদি-পরিহাসরূপ সদাচার। লোকে শিক্ষা দেন নিজে করিয়া প্রচার ॥ নৃপতি ভরত, মুনি সোঁভরি প্রভৃতি । দুঃসঙ্গের দোষ দেখাইলেন আকৃতি । যুধিষ্ঠির-নল-আদি নৃপতি বিখ্যাত। দুষ্ট-দ্যুত দোষ দেখাইলেন সাক্ষাত ॥ নৃগ-আদি ব্ৰহ্মস্বের ভয় দেখাইলা । বস্তুত সে মল হৈতে শুদ্ধ তারা ছিলা ॥ যদি কহ–‘বিস্বাকুল-হেতুক-কীৰ্ত্তনে । নিষ্ঠা নাহি হবে ?” তবে করহ শ্রবণে— ॥ সমুদায় জন্মিতেছে যে-ভক্তি-প্রভাব । তাহাতে বিচার সব হৈতেছে সম্ভাব ॥ সেহেতু বস্থাতিবিঘ্ন সকল নিশ্চয়। অনায়াসে তুমি সব করিবে সে জয় ॥ অন্তয়ে সৰ্ব্বত্র নিরস্তর সর্বদায় । আমরা তোমার অতি আছিয়ে সহায় ॥ শ্ৰীকৃষ্ণচন্দ্রের মহা অমুকম্পাচয় । তোমাপ্রতি স্থিরতর আছে সমুদয় ॥ করিয়াছি আমরা ত এ অলধারণ । ব্যক্ত করি কহি, শুন তাহার কারণ~~ ; তপোলোকবাসী পিপ্পলায়ন তোমারে । কহিল সাক্ষাৎ-দর্শনের পরিহারে । চিত্তের দর্শন প্রশংসিল তাহে সব । সাক্ষাৎ-দৰ্শন-ইচ্ছা নাহি গেল তব ॥ পিপ্পলায়নের বাক্য পূর্বের কথিত । কহিছেন অম্বুবাদ করিয়া কিঞ্চিত— ॥ নিবিড় সচ্চিদানন্দ সত্যের স্বরূপ ৷ শ্ৰীমদ্ভগবানের নিশ্চিত নিত্য রূপ ৷