পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাহার দীপ্তিতে ছয় সুপ্রকাশ । উজ্জল সুন্দর মুখে ক্রীড়াহাস ॥ কৌশলের উক্তিভঙ্গির দ্বারায় । আকর্ষয়ে ভক্তগণচিত্ত তায় ॥ ধরণী-নামিকা যে দ্বিতীয় প্রিয়া । করে পতগে হি ধারণ করিয়া ॥ কটাক্ষভঙ্গির দ্বারায় তখন । বারম্বার যত্নে করেন সেবন ॥ সুদৰ্শন-গদীশঙ্খাদি যে সব। মূৰ্ত্তিমান শিরে চিহ্ন সুপ্রভব ॥ চতুর্দিগে সবে করয়ে সেবন। স্তুতি নতি অতি বিনতিলক্ষণ ॥ ভক্তিতে সেবয়ে লেবকের গণ । প্রভূর সমান আকারাদি হন। চামর-বাজন-পাদুকাদি যাহা । ঐবিশিষ্ট পরিচ্ছদগণ তাহা ॥ করেতে করিয়া আছে দাড়াইয়া । চতুর্দিগে সব আবৃত হইয়া ॥ শেষ-খগরাজ-বিঘকসেন-আদি । পার্ষদবর্গে যে মুখ্য অমুবাদি ৷ उशी छा8भशृष्क ( उी: trl२sls७ls१ ) নঙ্গ: সুনন্দোহথ জয়ে বিজয়: সুবলোবল: । কুমুদ: কুমুদ্ৰাক্ষশ্চ বিঘ্নকসেন: পতত্রিবাট । জয়ন্ত: শ্রুতদেবশ পুষ্পদন্তোহথ সাত্বক: । ইতি । এইসব যত গণাধ্যক্ষগণ । ভক্তিতে আনত হই সৰ্ব্বক্ষণ ॥ মস্তকে অঞ্জলি করিয়া ত সবে। প্রভুর অগ্ৰেতে দণ্ডাইয়। তবে ॥ নানাবিধ চিত্র বিচিত্র বচনে । করেন প্রভুর সকলে স্তবনে ॥ নারদ করেন অদ্ভুত নৰ্ত্তন। বীণাগ্যত-আদি ভঙ্গি প্রকটন। সে চাকুরী শুনি লক্ষ্মী ধরণীর। সহিত হাসেন উচ্চে কভু স্থির ॥ স্বভক্তে যাহার নিজ শ্রীচরণে । চিত্ত আছে প্রসারণ-সমর্পণে । তাদের আনন্দবিশেষ-বৰ্দ্ধন- | হেতু কভু নিজ যুগ্ম শ্ৰীচরণ ॥ প্রসারণাস্তর করি সমর্পণ । অদ্ভুত বিলাস করেন কখন। শ্ৰীবৃহদ্ভাগবতামৃত *Y(t এপ্রকার করি প্রভুরে দর্শন । আনন্দভারেতে হৈয়া মগ্ন-মন ॥ মোরে লৈয়া গেলা যে পার্ষদগণ । তাহীদের শিক্ষা করি বিস্মরণ ॥ 'হে গোপাল হে জীবিত ! মম’ এই ৷ বাক্য বারম্বার বলি তথাতেই। আমি করিবারে তারে আলিঙ্গন। ধাইলাম বাহু করি প্রসারণ। পৃষ্ঠেস্থিত সেই বিজ্ঞবরগণ । ধরিলেন আমা-দীনেরে তখন ॥ করিয়া অত্যন্ত বিনয় বিস্তৃত। হইলাম অতি প্রেমে বশীকৃত। অতিশয় মোহ প্রাপ্ত হইলাম। শ্ৰীভগবানের আগ্ৰে পড়িলাম ॥ তবে সে পার্ষদগণ বলে উঠাইলা । বহুক্ষণে প্রণয়েতে বোধ জন্মাইলা। দর্শনের বিঘ্নকারী নেত্রে অশ্র ছিল । তাহা মাজি আমি নেত্র প্রকাশ করিল। তবে ত দয়ালুশ্রেষ্ঠ স্নেহে বিলক্ষণ । গম্ভীর-মৃদু-স্বরেতে বলিলা বচন— ॥ সুস্থ হও শীঘ্র আস্তে হে বৎস I এখন ; সঞ্জমাদি ত্যজ, মিলি কর আলাপন ॥ এতেক শুনিয়া আনন্দের অস্ত্য সীমা । পাইলাম যাহা হৈতে নাহিক গরিমা ॥ মহোম্মাদগ্ৰস্তন্তায় বৃত্য বারম্বার। করিয়া পতিত হইলাম পুনৰ্ব্বার। সে পার্ষদগণ বহুপ্রয়াসের স্বারে । স্থৈৰ্য্য আর বোধযুক্ত করিলা আমারে ॥ করিতে মুস্থতা ধরি অতিথি-বিধান । কহিলেন পরম দয়ালু ভগবান— স্বাগতং স্বাগতং বৎস । মঙ্গল মঙ্গল । তব দশনার্থে ছিল উৎকণ্ঠা প্রবল । এইক্ষণে তোমাসহ হইল-মিলন। শুনহ বিস্তার কহি উৎকণ্ঠাকারণ— হে অঙ্গ হে সখে । বহুজন্ম গোয়াইলা । আভিমুখ্য আমাতে কিছুই না করিলা । এই এই বর্তমান জন্মে এইজন । আমাতে উন্মুখ হইবেক সহ-মন ৷ অত্যস্ত তোমার এইপ্রকার আশায় । বহুকাল নৰ্ত্তিত আছিয়ে অজ্ঞপ্রায়। মন্নামকীৰ্ত্তন-আদি ছল কোনো এক । কিঞ্চিত না পাইলাম দেখিয়া প্রত্যেক ।