পাতা:শ্রীবৃহদ্ভাগবতামৃত.djvu/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S$" তথাপি শ্ৰীবৈকুণ্ঠনাথেরে অমৃক্ষণ । *পরমেশ ঞিহ এই বোধের কারণ ॥ আর বৈকুণ্ঠলোকেতে নিজ আগমনস্মরণ-হেতুক জন্মে যেই আদরণ ॥ তদযুক্ত গৌরবে সেই প্রেম হানি হয় । তেকারণে মম মন তৃপ্ত কভু নয় ॥ গোপালদেবের কৃপাবিশেষ সন্ধানে । আলিঙ্গনচুম্বনাদি পাইলু যে ধ্যানে। বৈকুণ্ঠেশ হৈতে তাহা ইচ্ছা করি মনে । না পাইয়া অবসর হই ক্ষণেক্ষণে ॥ কখন ঈশ্বর যান নিভৃতে বিহিত । অভ্যস্তরবর্হি-শেষ-আদির সহিত ॥ সেইকালে করেন বৈ1ষ্ঠবাসিসব । প্রভুর দর্শনা ভাবে শোক অনুভব ॥ প্রভুদর্শনাভাবের বৃত্তাস্ত যাহারে । জিজ্ঞাসা করিয়ে অতি-গৌরব-প্রকারে । পরম-রহস্ত-দ্যায় করি সঙ্গোপন । কেহ নাহি কহে ব্যক্ত করি উদঘাটন ॥ ‘আমার প্রভুর গোপনীয় লীলা যেই । অযোগ্য তার প্রকাশ’—কছে মাত্র এই ॥ কিন্তু সে-লীলা-প্রকাশে বৈকুণ্ঠের বাসে । না রবে আদর—এইহেতু নাহি ভাষে ॥ যান যেইকালে প্রভু—পুন সে-সময়ে। ছয়েন জগদীশ্বর সে-স্থানে উদয়ে ॥ স্বল্প হৈতে অতি স্বাক্ষ সে কাল তথায । মৰ্ত্ত্যলোকে বহুকাল তার মধ্যে যায় ॥ তবে ত তাহারে দেখি সস্তাপ নাশয়ে । হৰ্ষসিন্ধু বাঢ়ে যেন চন্দ্রের উদয়ে ॥ মনের স্বভাৰে জাত বিকলতাচয় । যত-তত-পরিমাণ উৎপন্ন সে হয় । বৈকুণ্ঠলোকের মহিমার উদ্রেকেতে । ক্ষয় হয় যেন তমঃ স্বৰ্য্য-উদয়েতে ॥ ঐবৈকুণ্ঠপ্রাপ্তি ছৈতে আপন অশেষ । প্রাপ্য সিদ্ধ হইলেহ যেমত বিশেষ ॥ নিজ ইষ্ট-অসিদ্ধিতে বিষন্নত হয়। তেমত যেকালে কতু আমার হৃদয় ॥ পূৰ্ব্বপূৰ্ব্বমত ব্যথা পায় সে-সময় । ইচ্ছার পূর্ণতাত্তাব রোগ যেই হয়। তাহার উৎপন্ধের কারণ বিশেষতঃ । অর্থাৎ বৈকুণ্ঠাধিক প্রাপ্য স্থানান্ততঃ ॥ লাভেচ্ছাস্বরূপ সব বুঝিয়া আপনি ! আপন হইতে করি নিরাল তখনি— শ্ৰীমদ্ভাগবত ‘অনিৰ্ব্বাচ্য শ্ৰীবৈকুণ্ঠবাস হৈতে অল্প । কিছু প্রাপ্য নাহি—ইহা স্বনিশ্চিত মন্ত ॥ এ সিদ্ধাস্তে সন্দেহ না কর অল্প মন । অন্ত ইহা হৈতে কিবা কর জিজ্ঞাসন ? ॥ রে চঞ্চল চিত্ত ! তাহে বিচার করিয়া। এখনো স্বভাব দূরে দেহ তেয়াগিয়া ॥ ঐবৈকুণ্ঠলোকে বাস হইতে অপর। উৎকৃষ্ট নাহিক ফল, এই সৰ্ব্বোপর ॥ সেইহেতু শতশত করিয়া বিচার । শ্রেষ্ঠ উপশম প্রাপ্ত হও এইবার ॥ এইমতে নিজমনে করি প্রবোধন । বৈকুণ্ঠলোকেতে যেই প্রভুর ভজন । সেহেতু সচ্চিদানন্দময় আপনারে । করি বিলোকন আপনি সে সাক্ষাৎকারে। আর যে পরম মুখ বিচিত্র প্রকারে । তাহাও আপনি করি মন-মধ্যে বারে । শ্ৰীযুক্ত শ্ৰীমদনগোপালদেৰে মন । আকৰ্ষিত হৈলে যায় বিচার যখন ॥ তখনি বিষণ্ণ মন হয় ত আপনি । ইহাও হইল ব্যক্ত উক্ত বাক্যে ধ্বনি । এই ত প্রকারে হই উদ্বিগ্ন কখন । কখন বা হর্ষযুক্ত হয় মম মন ॥ বৈকুণ্ঠে নিবসি একদিন মুনিজনে । শ্ৰীনারদগোস্বামিরে করিলু দর্শনে ॥ মহাপ্রিয় কৃষ্ণের—দয়ালুচুড়ামণি । কৃষ্ণভক্তিরসসিন্ধু নারদ আপনি । বীণাযুক্ত-হস্তে মম মস্তক স্পশিয়া । কহিতে লাগিলা শুভাশিষে হর্ষ দিয়া— হে গোপনন্দন ! কহি শুন দিয়া চিত । তুমি বৈকুণ্ঠেস্বরের সদাহগ্ৰহীত । মুখস্লানি-শূন্তদৃষ্টি-শ্বালাদি-লক্ষণে । দীনমত শোকী তোমা করিয়ে দর্শনে ॥ শোক আর দুঃখের প্রবেশ এইস্থানে । কি প্রকারে হয় ? কহ তাহার নিদানে ॥ যেহেতু এথায় শোকদুঃখপ্রবেশন ! কাহারো সম্বন্ধে না করিলাম দশন । অতএব মম অতি কৌতুহল হবে। এমত বচন তার শুনি আমি তবে ॥ নির্হেতুক-কৃপাকারী আছে যত জন । তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ ইথে স্বহচ্ছে ষ্ঠ হন । পরমাপ্ত নিজগুরুতুল্য পায়্যা তারে । নিজ মনঃকথা সব কহিদু বিস্তারে।